Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কবিতা (মাঘ- ১৪২৭)

নিরাপদ সবজি
ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান১

সবজি সাবলীল তরতাজা দরকারি,
সময়ের চাহিদা শাকসবজি বাহারি।
পুঁই পালং পেঁপে কুমড়া কচু করলা,
লালশাক লাউ কাঁটানটে কাঁচকলা।
ফুলকপি বাঁধাকপি ওলকপি মুলা,
বরবটি টমেটো গাজর শাকছোলা।
সিতালাউ আলু  ব্রোকলি কাঁকরোল,
শালগম উচ্ছে বেগুন ঢেঁড়স পটোল।
ঝিঙা চিচিঙ্গা এমন সবজি সমাহার,
মানব কল্যাণে সব খোদার উপহার।

সবজি খাওয়াতে নেই কোনো বিপত্তি,
মাছ মাংস চাল গমে যতনা আপত্তি।
শাকসবজিতে কোনো অভিযোগ নাই,
নিয়মিত খেলে দেহে আসে না বালাই।
ভাত সাদা, রুটি সাদা, চিনি সাদা রং,
সাদা লবণ বেশি খেলে কি যে ভংচং।
বাড়ে প্রেসার, সুগার, কোলেস্টেরল,
এসব স্বাস্থ্য নষ্টের ভেল্কিবাজি খেল।
সবজি সুন্দর স্বাস্থ্যসম্মত দরকারি,
পরিমিত স্বাস্থ্যে প্রজ্ঞা বেজায় ভারি।

নিরাপদ সবজি উৎপাদন সমাচার,
মুজিববর্ষে মোদের এই অঙ্গীকার।
বালাইনাশকে যে বিষাক্ত তরকারি,
নিরাপদ সবজি আজ বড় দরকারি।
বালাইনাশকের পরিচ্ছন্ন ব্যবহার,
যথা সারে নিরাপদ সবজি উপহার।
সবজিপোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ,
ললনার ছলনায় ঠিক পোকা প্রমাদ।
জৈব বালাইনাশক এ সময়ের দাবি,
ইয়েস দৃষ্টিভঙ্গি ভালো সবজির চাবি।

শাকসবজি ভিটামিনের কারখানা,
মাঠে মাঠে তৈরি এসব সোনা দানা।
ভিটামিন মিনারেলে ভরা সারাদেশ,
স্বর্গসুখে ভরা আমাদের বাংলাদেশ।
দেহে ভিটামিন, মিনারেলের অভাব,
বিলক্ষণ প্রকাশে অভাবেরই স্বভাব।
সবজি সামঞ্জস্য সুন্দর শরীর কাজে,
যেখানে যেমন সেখানে তেমন ত্যজে।
দেহ রাজকাজে বলিহারি জিতেন্দ্রিয়,
সুখস্বাস্থ্য সম্পদে সবজি সবার প্রিয়।

১জেলা প্রশিকক্ষণ অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ, মোবাইল : ০১৭১২৮২২৭৪৯, ই- মেইল : dr. md. monir7@gmail.com 2 ঊর্ধ্বতন

 

গমের বøাস্ট রোগের কথা
কৃষিবিদ মোঃ মুজাহিদ-ই-রহমান২

শুনেন শুনেন ভাই সকলে
                             শুনেন দিয়ে মন,
গমের একটি নতুন রোগ
                            বøাস্টের কথা করিব বর্ণন ।
তিন দশক আগের কথা
                     ব্রাজিল দেশের গমে,
এই বøাস্ট রোগের জীবাণু
                         সমস্যা হয়ে জমে ।
এর পর দক্ষিণ আমিরিকায়
                    বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে,
আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে
                               গমের মহামারি হয়ে।
হঠাৎ করে সোনার দেশে
                             বøাস্ট রোগ চলে এলো,
ষোলো সালে কয়েক জেলায়
                              গমের শীষ সাদা হয়ে গেল ।
দিশেহারা আমরা সবাই
                                 কৃষক সরকার মিলে,
বলা হলো দমন হবে
                                 সঠিক নিয়মে ব্যবস্থা নিলে ।।
শুনেন শুনেন ভাই সকলে
                             শুনেন দিয়া মন,
গমের বøাস্ট রোগের লক্ষণ
                         এবার করছি  বর্ণন ।
হঠাৎ করে সবুজ শীষ
                      পুড়ে সাদা হয়ে যায়,
আর্দ্র-গরম আবহাওয়ায়
                    তা অতি দ্রæত ছড়ায় ।
সাধারণত রোগ হয় শীষে
                  শীষের মাঝে, গোড়া বা ওপরে,
আক্রমণ হলে পরে
                          ওপরের দিকে যাবে পুড়ে।।
শুনেন শুনেন ভাই সকলে
                   শুনেন দিয়ে মন,
এ রোগের দমন ব্যবস্থাপনা
                  এবার করিব বর্ণন।
বীজের দ্বারায় ছড়াতে পারে
                  তাই বীজ শোধন করা,
অনেক সুফল বয়ে আনে
                       বীজ শোধনের দ্বারা ।
গমের রোগ প্রতিরোধ নিমিত্ত
                   বারি গম তেত্রিশ,
করিলে চাষ মিলেবে মুক্তি
                  পাবেন রোগমুক্ত শীষ।
অগ্রহায়ণের শুরু দিকে
                   গমের বীজ বপন করুন,
শীষের সময় খারাপ আবহাওয়া
                বুদ্ধি করে পরিহার করুন।
সময় মতো সঠিক যতœ নিলে
                    সঠিক মাত্রায় ছত্রাকনাশক দিয়ে,
এক দুই বার স্প্রে করলে
                  থাকবেন ভাই নির্ভয়ে।
ভয় নাই ভাই গম উৎপাদনে
             সঠিক সময়ে গম বুনে,
সঠিক নিয়মে গম ফলালে
                 থাকব মোরা সুখী মনে।।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, নশিপুর, দিনাজপুর, মোবাইল : ০১৭১৭৪৩৪৯০৬৬, ই- মেইল :mmer_bari@yahoo.com