Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

নিরাপদ সবজির চারা উৎপাদন প্রযুক্তি

ড. বাহাউদ্দিন আহমেদ

চারা উৎপাদন করে যে সব সবজি চাষ করা হয় তার মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, ব্রকলি, বেগুন, টমেটো, ক্যাপসিকাম, লাউ ও মিষ্টিকুমড়া উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে আগাম শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন সময়ে সবজি চাষের জন্য চারা উৎপাদন ক্রমে প্রসার লাভ করছে। উৎকৃষ্ট ও নিরাপদ সবজির চারা উৎপাদনের জন্য প্রচুর দক্ষতা  এবং নিম্নোক্ত কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
 

বীজতলার স্থান নির্ধারণ
বীজতলার জমি অপেক্ষাকৃত উচু হওয়া উচিত যাতে বৃষ্টির বা বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশন করা যায়। ছায়াবিহীন, পরিষ্কার এবং বাতাস চলাচলের উপযোগী স্থানে বীজতলা করা প্রয়োজন। পানির উৎসের কাছাকাছি বাড়ি, খামার বা অফিসের কাছাকাছি হওয়া উচিত। বীজতলার মাটি বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ এবং উর্বর হওয়া ভালো। বেলেমাটি বেশি হলে কাদামাটি, গোবর বা কম্পোস্ট মিশিয়ে অথবা অতিরিক্ত কাদামাটি হলে বালু, কম্পোস্ট বা গোবর মিশিয়ে মাটির জল ধারণ ও নিষ্কাশনের উপযোগী করে বীজতলার মাটি উন্নত করা যায়। বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদন করতে হলে বীজতলা যতদূর সম্ভব ক্রেতাদের কাছাকাছি এবং ভালো যোগাযোগ সম্পন্ন স্থানে স্থাপন করা উচিত।

 

বীজতলা তৈরি
একক বীজতলা বা হাপোর সাধারণত এক মিটার চওড়া ও তিন মিটার লম্বা হবে। জমির অবস্থা ভেদে দৈর্ঘ্য বাড়ানো কমানো যেতে পারে। প্রয়োজনে বড় জমিকে ভাগ করে এভাবে একাধিক বীজতলা তৈরি করা যেতে পারে। পাশাপাশি দুটি বীজতলার মধ্যে কমপক্ষে ৬০ সেন্টিমিটার ফাঁকা রাখতে হবে। বীজ বপনের কয়েক দিন আগে বীজতলার মাটি ২০-২৫ সেন্টিমিটার গভীর করে ঝুরঝুরা ও ঢেলা মুক্ত করে তৈরি করতে হবে। বীজতলা সাধারণত ১০-১৫ সেন্টিমিটার উঁচু করে তৈরি করতে হবে। মাটি, বালু ও পচা গোবর সার বা কম্পোস্ট মিশিয়ে বীজতলার মাটি তৈরি করতে হয়। মাটি উর্বর হলে রাসায়নিক সার না দেয়াই ভালো। উর্বরতা কম হলে প্রতি  ১০০ গ্রাম টিএসপি সার মিশাতে হবে বীজ বপনের এক সপ্তাহ আগে। যারা বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদন করেন তাদের জন্য ইট-সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ী বীজতলা তৈরিই শ্রেয়।

 

বীজতলার মাটি শোধন
বীজ বপনের পূর্বে বীজতলার মাটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে শোধন করা যায়। এতে অনেক মাটিবাহিত রোগ, পোকামাকড় আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে দমন করা যায়। যেমন- সৌরতাপ ব্যবহার করে (কালো পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে); জলীয় বাষ্প ব্যবহার করে; ধোঁয়া ব্যবহার করে; রাসায়নিক দ্রব্য যেমন ফরমালডিহাইড ব্যবহার করে; কাঠের গুঁড়া পুড়িয়ে; পোলট্রি রিফিউজ ব্যবহার করে।


উল্লেখিত বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে সবচাইতে সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি হলো সৌরতাপ ব্যবহার করে বীজতলার মাটি শোধন করা। এক্ষেত্রে বীজ বপনের ১২-১৫ দিন পূর্বে বীজতলার  মাটি যথাযথভাবে তৈরি করে ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। পরে পলিথিন দিয়ে বায়ু নিরোধক করে ঢেকে রাখতে হবে। এতে সারা দিনের সূর্যালোকে পলিথিনের ভেতরে বীজতলার মাটির তাপমাত্রা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে ও অনেকাংশে মাটিবাহিত রোগজীবাণু দমন করবে। এছাড়াও অনেক ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও আগাছা দমন হয়। বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সবজি চারা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বীজতলায় রাসায়নিক দ্রব্য যেমন ফরমালডিহাইড পানিতে মিশিয়ে (৫০: ১) ব্যবহার করা হয়। পোলট্রি রিফিউজ ব্যবহার করেও বীজতলায় মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধির সাথে সাথে আংশিকভাবে বীজতলার মাটি শোধনের প্রক্রিয়া বর্তমানে দেশের অনেক সবজি উৎপাদন এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 

বীজ শোধন
বীজতলায় বপনের পূর্বে সবজি বীজ কয়েকটি পদ্ধতিতে শোধন করা যায়। এগুলোর মধ্যে গুঁড়ো রাসায়নিক ওষুধ দ্বারা বীজ শোধন পদ্ধতি বর্তমানে সর্বাধিক প্রচলিত ও কম ঝামেলা পূর্ণ। প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স-২০০ বা ক্যাপটান ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়। বীজ শোধনের ফলে বিভিন্ন সবজির অ্যানথ্রাকনোজ, লিফস্পট, বøাইট ইত্যাদি রোগ ও বপন পরবর্তী সংক্রমণ রোধ সম্ভব হয়। বীজ শোধনকারী রাসায়নিক দ্রব্যাদি বিষাক্ত বিধায় শোধিত বীজ, শোধন সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

 

বীজ পরীক্ষাকরণ
শাকসবজির বীজ বপনের পূর্বে ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেয়া প্রয়োজন। ভালো ও বিশুদ্ধ বীজের অভাবে, নির্দিষ্ট জাতের গুণাগুণ সম্পন্ন সবজির উচ্চফলন আশা করা যায় না। বীজের উৎকৃষ্টতা নির্ভর করে তার অঙ্কুরোদগম ক্ষমতার ওপর।  অঙ্কুরোদগমের হার বের করার জন্য পেট্রিডিশ বা ছোট থালা নিয়ে তার ওপর ঐ মাপের চোষ কাগজ পানি দিয়ে ভিজিয়ে ৫০-১০০টি বীজ সবজিভেদে কয়েক দিন রেখে অঙ্কুরোদগমের শতকরা হার বের করে নিতে হবে। বিভিন্ন সবজির অঙ্কুরোদগমের শতকরা সর্বনিম্ন গ্রহণযোগ্য হার বিভিন্ন সবজির জন্য বিভিন্ন রকম (টেবিল দ্রষ্টব্য)। তাহলে মূল্যবান বীজের সঠিক পরিমাণ, চারার সংখ্যা ইত্যাদি নির্ধারণ করা সহজ হবে।

 

বীজ বপন
বীজতলায় সারি করে বা ছিটিয়ে বীজ বপন করা যায়, তবে সারিতে বপন করা উত্তম। সারিতে বপনের জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট দূরত্বে (৪ সেমি.) কাঠি বা টাইন দিয়ে ক্ষুদ্র নালা তৈরি করে তাতে বীজ ফেলে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ছোট বীজের বেলায় বীজের দ্বিগুণ পরিমাণ শুকনো ও পরিষ্কার বালু বা মিহি মাটি বীজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মাটিতে বীজ বপন করতে হয়। শুকনা মাটিতে বীজ বপন করে সেচ দেয়া উচিত নয়, এতে মাটিতে চটা বেঁধে চারা গজাতে ও বাতাস চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সেচ দেয়া মাটির জো অবস্থা এলে বীজ বপন করতে হয়। যে সমস্ত বীজের আবরণ শক্ত, সহজে পানি প্রবেশ করেনা, সেগুলোকে সাধারণত বোনার আগে পরিষ্কার পানিতে ১৫-২০ ঘণ্টা অথবা শতকরা এক ভাগ পটাশিয়াম নাইট্রেট দ্রবণে এক রাত ভিজিয়ে বপন করতে হয় (যেমন লাউ, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, উচ্ছে ও ঝিঙা)।

 

চারা উৎপাদনের বিকল্প পদ্ধতি
প্রতিক‚ল আবহাওয়ায় বীজতলায় চারা উৎপাদনের জন্য বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে সবজির চারা কাঠের বা প্লাস্টিকের ট্রে, পলিথিনের ব্যাগে, মাটির টবে, গামলায়, থালায়, কলার খোলে উৎপাদন করা যায়। কোন কোন সময় কুমড়া, শিম জাতীয় সবজির চারা রোপণ করার প্রয়োজন দেখা যায় । কিন্তু এসব সবজি রোপণজনিত আঘাত সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে না। ছোট আকারের পলিথিনের ব্যাগে বা উপরে উল্লিখিত অন্যান্য মাধ্যমে এদের চারা উৎপাদন করা উচিত যাতে শেকড় ও মাটিসহ চারা রোপণ করা যায়। বীজ বপনের ১৫-২০ দিনের মধ্যে চারা রোপণ করতে হবে।

 

বীজতলায় আচ্ছাদন
আবহাওয়া এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে বীজতলার উপরে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করতে হবে যেন বৃষ্টির পানি ও অতিরিক্ত সূর্যতাপ থেকে বীজতলাকে রক্ষা করা যায়। আচ্ছাদন বিভিন্নভাবে করা যায়। তবে কম খরচে বাঁশের ফালি করে বীজতলার প্রস্থ বরাবর ৫০ সেমি. পরপর পুঁতে নৌকার ছৈ এর আকারে বৃষ্টির সময় পলিথিন দিয়ে এবং  প্রখর রোদে চাটাই দিয়ে চারা রক্ষা করা যায়।

 

চারার যত্ন
চারা গজানোর পর থেকে ১০-১২ দিন পর্যন্ত হালকা ছায়া দ্বারা অতিরিক্ত সূর্যতাপ থেকে চারা রক্ষা করা প্রয়োজন। পানি সেচ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচর্যা তবে বীজতলার মাটি দীর্ঘ সময় বেশি ভেজা থাকলে অঙ্কুরিত চারার রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। চারার শেকড় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেলে রোদ কোন ক্ষতি করতে পারে না, তখন এটি বরং উপকারী। চারা গজানোর ১০-১২ দিন পর বীজতলায় প্রয়োজন মতো দূরত্ব ও পরিমাণে চারা রেখে অতিরিক্ত চারাগুলো যত্ন সহকারে উঠিয়ে দ্বিতীয় বীজতলায় সারি করে রোপণ করলে মূল্যবান বীজের সাশ্রয় হবে।


দ্বিতীয় বীজতলায় চারা স্থানান্তরকরণ
জমিতে চারা লাগানোর পূর্বে মূল বীজতলা থেকে তুলে দ্বিতীয় বীজতলায় সবজি চারা রোপণের পদ্ধতি অনেক দেশেই চালু আছে। এ পদ্ধতিকে দ্বিতীয় বীজতলায় চারা স্থানান্তরকরণ পদ্ধতি বলে। দেখা গেছে ১০-১২ দিনের চারা দ্বিতীয় বীজতলায়    স্থানান্তরিত করা হলে কপি গোত্রের সবজি, বেগুন ও টমেটো চারার শিকড় বিস্তৃত ও শক্ত হয়, চারা অধিক সবল ও তেজি হয়। চারা উঠানোর আগে বীজতলায় পানি দিয়ে এরপর সুচালো কাঠি দিয়ে শিকড়সহ চারা উঠাতে হয়। উঠানো চারা সাথে সাথে দ্বিতীয় বীজতলায় লাগাতে হয়। বাঁশের সুচালো কাঠি বা কাঠের তৈরি সুচালো ফ্রেম দ্বারা সরু গর্ত করে চারা গাছ লাগানো হয়। লাগানোর পর হালকা পানি দিতে হবে এবং বৃষ্টির পানি ও প্রখর রোদ থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন বা চাটাই দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।

সবজি অঙ্কুরোদগমের গ্রহণযোগ্য হার (%) বীজ অঙ্কুরোদগম/ গজানোর সময় (দিন)
ফুল কপি ৭৫
বাঁধাকপি ৭৫
টমেটো ৭৫
বেগুন ৭০
মুলা ৭৫
শসা ৮০
তরমুজ ৭০
পালংশাক ৬০
ঢেঁড়স ৫০
মরিচ ৫৫
মিষ্টিকুমড়া ৭৫
গাজর ৫৫
পিয়াজ ৭০
লেটুস ৮০


বীজতলায় চারার রোগ দমন

বীজতলায় বপনকৃত বীজ গজানোর পূর্বে বীজ এবং পরে কচি চারা রোগাক্রান্ত হতে পারে। অঙ্কুরোদগমরত বীজ আক্রান্ত হলে তা থেকে আদৌ চারা গজায় না। গজানোর পর রোগের আক্রমণ হলে চারার কাণ্ড মাটি সংলগ্ন স্থানে পচে গিয়ে নেতিয়ে পড়ে। একটু বড় হওয়ার পর আক্রান্ত হলে চারা সাধারণত মরে না, কিন্তু এদের শেকড় দুর্বল হয়ে যায়। চারা এভাবে নষ্ট হওয়াকে বলে ড্যাম্পিং অফ। বিভিন্ন ছত্রাক এর জন্য দায়ী। ড্যাম্পিং অফ রোগ বাংলাদেশে চারা উৎপাদনের এক বড় সমস্যা। বীজতলার মাটি সব সময় ভেজা থাকলে এবং মাটিতে বাতাস চলাচলের ব্যাঘাত হলে এ রোগ বেশি হয়। এ জন্য বীজতলার মাটি সুনিষ্কাশিত রাখা  রোগ দমনের প্রধান উপায়। প্রতিশেধক হিসাবে মাটিতে ক্যাপটান, কপার অক্সিক্লোরাইড বা ডাইথেন এম-৪৫, ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে বীজতলার মাটি ভালো করে ভিজিয়ে কয়েক দিন পর বীজ বপণ করতে হবে। এছাড়াও কাঠের গুঁড়া পুড়িয়ে, সৌরতাপ ব্যবহার করে, পোলট্রি রিফিউজ ও খৈল ব্যবহার করেও ড্যাম্পিং অফ থেকে চারাকে রক্ষা করা যায়।


চারার কষ্ট সহিষ্ণুতা বর্ধণ
রোপণের পর মাঠের প্রতিক‚ল পরিবেশ যেমন ঠাণ্ডা আবহাওয়া বা উচ্চতাপমাত্রা, পানির স্বল্পতা, শুষ্ক বাতাস এবং রোপণের ধকল ও রোপণকালীন সময়ে চারা নাড়াচারায় সৃষ্ট ক্ষত ইত্যাদি যাতে সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য বীজতলায় থাকাকালীন চারাকে কষ্ট সহিষ্ণু করে তোলা হয়। যে কোন উপায়ে চারার বৃদ্ধি সাময়িকভাবে কমিয়ে যেমন বীজতলায় ক্রমান্বয়ে পানি সেচের পরিমাণ কমিয়ে বা দুই সেচের মাঝে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে চারাকে কষ্ট সহিষ্ণু করে তোলা যায়। কষ্ট সহিষ্ণুতা বর্ধণকালে চারার শ্বেতসার (কার্বোহাইড্রেট) জমা হয় এবং রোপণের পর এই শে^তসার দ্রুত নুতন শিকড় উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে সহজেই চারা রোপণজনীত আঘাত সয়ে উঠতে পারে।

 

চারা রোপণ
বীজতলায় বীজ বপনের নির্দিষ্ট দিন পর চারা মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। সবজির প্রকার ভেদে চারার বয়স ভিন্নতর হবে। কপিজাতীয় সবজি, টমেটো, মরিচ, বেগুন ইত্যাদির চারা ২০-৩০ দিন বয়সে রোপণ করতে হয়। চারা উঠানোর পূর্বে বীজতলার মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে। যত্ন করে যতদূর সম্ভব শেকড় ও কিছু মাটিসহ চারা উঠাতে হবে। মূল জমিতে চারা লাগানোর পরপরই গোড়ায় পানি সেচ দিতে হবে। চারা সাধারণত বিকেল বেলায় লাগানো উচিত। চারা লাগানোর কয়েক দিন পর পর্যন্ত গাছে নিয়মিত পানি দিতে হবে।

 

চারার বৈশিষ্ট্য
চারা স্বাভাবিক আকারের অর্থাৎ বেশি বড়ও নয় ছোটও নয়। কমপক্ষে ৫-৬টি পাতা যুক্ত থাকতে হবে। শিকড় অক্ষত ও মাটির দলায় জড়ানো থাকতে হবে। রোগের সবরকম লক্ষণ থেকে মুক্ত হতে হবে। পুরু কাণ্ড ও সতেজ চেহারা থাকতে হবে এবং স্বাভাবিক সবুজ পাতা থাকতে হবে (অত্যাধিক গাঢ় সবুজ চারায় নাইট্রোজেনের আধিক্য নির্দেশিত, এই সব চারা তাই দুর্বল হয়)।

 

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সবজি বিভাগ, উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্র, বারি, জয়দেবপুর, গাজীপুর। মোবাইল : ০১৫৫৬৩৬৩৯০১,  ই-মেইল : bahauddirahmed57@yahoo.com