Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

করোনাকালে খাদ্য নিরাপত্তা : প্রয়োজন অংশীজনের অংশগ্রহণ

করোনাকালে খাদ্য নিরাপত্তা : প্রয়োজন অংশীজনের অংশগ্রহণ
মো: কামরুল ইসলাম ভূইয়া

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে শুরু হয়েছিল কোভিড-১৯ এর প্রকোপ। তারপর থেকে এই এক বছরে বিশ্বের প্রতিটি দেশ করোনাক্রান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সংকট ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর পাশাপাশি সর্বক্ষণ আতঙ্ক-ভয় এবং উৎকণ্ঠা নিয়ে কাটছে মানুষের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত। করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপ কঠোর লকডাউনে মানুষকে বেছে নিতে হয়েছে প্রায় গৃহবন্দিত্বের জীবন।
প্রবাদ আছে বিপদ কখনও একা আসে না। এই মহামারি সাথে আরেকটি মহাদুর্যোগের আশঙ্কাও যুক্ত হয়েছিল। সেটি হলো বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও ফুড সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। এমনকি খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডবিøউএফপি)সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং কৃষি-অর্থনীতি বিশেষজ্ঞগণ। এফএওর ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ২০২০’ রিপোর্ট অনুযায়ী  কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরু আগেই বিশ্বে খালি পেটে বা আধপেটা খেয়ে রাতে ঘুমাতে যায় এমন ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৬৯ কোটি (৬৯০ মিলিয়ন)। শতকরা হিসেবে যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৮.৯ ভাগ। আর চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হিসাবে ২০১৯ সালে বিশ্বে ৭৫ কোটি মানুষ, প্রতি ১০ জনে ১ জন, চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিল।
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, জরুরি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ না করলে কোভিড-১৯ মহামারির বিরূপ প্রভাব খাদ্য ও ক্ষুধার উপরেও পড়বে। বিদ্যমান এই বিশাল ক্ষুধার্ত মানুষের সাথে বছরের (২০২০) শেষে আরও ৮-১৩ কোটি ক্ষুধার্তমুখ নতুন করে যুক্ত হবে। তা ছাড়া এই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বিশ্বব্যাপী অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়াবে। বিশেষ করে যুদ্ধসংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অর্থনৈতিক সংকট, খাদ্যসংকট বিদ্যমান আর শরণার্থী থাকা অঞ্চল ও দেশগুলোতে খাদ্য সংকট ও নিরাপত্তাহীনতা প্রকটতর হবে। কঠোর লকডাউনের কারণে বাণিজ্য ও পণ্য চলাচল বন্ধ হয়ে বিশ্বে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, কাজ ও উপার্জন হারানো, পর্যটনের আয় হারানো, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া এবং খাদ্য উৎপাদন ও ফুড সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল সংস্থাগুলো।
খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ ছিল সম্ভাব্য খাদ্যসংকট ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার দেশের তালিকায়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে  ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড  ক্রাইসিস ২০২০’ তীব্র খাদ্যসংকটে থাকা বিশ্বের ৫৫টি দেশের যে তালিকা করে; তার মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ সম্ভাব্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।              
এসব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু হতেই সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নির্দেশনা প্রদান করেন, “এক ইঞ্চি জমিও   অনাবাদি রাখা যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে”। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে করোনাকালে কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তা আরও বৃদ্ধিতে নেয়া হয় কার্যকর নানা পদক্ষেপ।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত মার্চে দেশে জারি করা হয় কঠোর লকডাউন। কিন্তু বোরো ধান কাটাসহ অন্যান্য            কৃষিকাজের তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌসুম। আগাম বন্যা ও কৃষিশ্রমিক সংকটের কারণে হাওড়ের ধান ঘরে তোলা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল চরম অনিশ্চয়তা। তাই কৃষি উপকরণ ও কৃষিপণ্য পরিবহণ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দ্রæততার সাথে ধান কাটতে উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানকাটার যন্ত্রপাতি বিতরণ ও হাওড় অঞ্চলসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিশ্রমিকের যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ফলে অত্যন্ত সফলভাবে সারা দেশের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছিল।
ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তার কথা ভেবে জোর দেয়া হয়েছিল আউশ ও আমন উৎপাদন বৃদ্ধিতে। বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে আউশের আবাদ বিগত অর্থবছর থেকে ২ লাখ হেক্টর এবং উৎপাদন প্রায় ৭ লক্ষ মেট্রিক টন বৃদ্ধি করা হয়। তা ছাড়া      কৃষকদের জন্য ৪ শতাংশ সুদে সর্বমোট প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কৃষিঋণের ব্যবস্থা করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ২৬২ কোটি টাকার চারা, বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। আমন উৎপাদন আশানুরূপ না হওয়ায় বোরো উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাড়ানো হবে। ২ লক্ষ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ধান চাষের জন্য ৭৬ কোটি টাকার হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে এবং বোরো ধান বীজে ২৫% হারে ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। সেচের মূল্য ৫০% হ্রাস করা হয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য ২৫ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। শুধু উৎপাদন নয়, করোনায় কৃষিপণ্যের বিপণন ও সরবরাহ সচল রাখতে নেয়া হয় কার্যকর উদ্যোগ।
এবার আসি খাদ্য নিরাপত্তা প্রসঙ্গে। এফএওর ‘কমিটি অন ওয়ার্ল্ড ফুড সিকিউরিটি’ এর মতে, একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনই যথেষ্ট নয়, বরং খাদ্যের সরবরাহ, প্রাপ্যতা, ব্যবহার, দামের স্থিতিশীলতা এবং খাদ্যে সাধারণ মানুষের প্রবেশযোগ্যতাও জড়িত আছে। আরও বিস্তৃত পরিসরে দেখলে, সক্রিয় ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পছন্দমাফিক পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তাও এর সাথে জড়িত।
উৎপাদনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সরকারের এসব উদ্যোগের ফলে বিগত এক বছরে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। চাল উৎপাদন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল  ৩ কোটি ৬৫ লাখ  ৩৬ হাজার টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টনে পৌঁছেছে। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ চাল উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। এ ছাড়া ডাল, তেলজাতীয়, শাকসবজি ও ফলমূলের উৎপাদনও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এত গেল বাংলাদেশের হিসাব। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে করোনার কারণে খাদ্য উৎপাদন, বাণিজ্য, ব্যবহার ও মজুদে খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এফএওর ‘ক্রপস প্রসপেক্টস ও ফুড সিচুয়েশন’ ডিসেম্বর ২০২০ প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে ২৭৪১       মিলিয়ন টন, যা আগের বছরের তুলনায় ১.৩ শতাংশ বেশি। ব্যবহার হয়েছে ২৭৪৪ টন, যা আগের বছরের তুলনায় ১.৯ ভাগ বেশি। লেনদেন হয়েছে ৪৫৫ মিলিয়ন টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৪ ভাগ বেশি। মজুদ আছে ৮৬৬ মিলিয়ন টন, যা আগের বছরের তুলনায় ০.৭ ভাগ কম।
তারপরও বিশ্বব্যাপী ‘খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ বেড়েছে। বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী ইতোমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনার কারণে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডবিøউএফপি) নভেম্বর ২০২০ সালের দেখতে পায়, তাদের পূর্বাভাস বাস্তবে পরিণত হয়েছে: ২০২০ সালের শেষে ১৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বিশ্বব্যাপী নতুন করে ‘চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগছে। যা কোভিডপূর্ব সময়ের তুলনায় শতকরা ৮২ ভাগ বৃদ্ধি। বিশেষ করে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ‘তীব্র ক্ষুধা’ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ গুণ ।
বাংলাদেশেও খাদ্যে প্রাপ্যতা, সরবরাহ ও ব্যবহারে করোনার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। তারপরও, তাদের ভাষ্য মতে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাংলাদেশেও কিছুটা বেড়েছে: প্রথমত  কোভিড-১৯ এর প্রভাবে মানুষের আয় কমেছে, রেমিট্যান্স হ্রাস পেয়েছে, দ্বিতীয়ত: ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও দফায় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি খাত ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ৮ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতিকেও অন্যতম কারণ হিসেবে দেখিয়েছে। এই শরণার্থীদের চাপে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কর্মসংস্থান কমেছে। বাংলাদেশে প্রধান খাদ্য চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্যনিরাপত্তার কিছুটা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
কিন্তু চালের বাজার বিশ্বব্যাপীই কিছুটা বেড়েছে। এফএওর ‘ফুড প্রাইস মনিটরিং ও অ্যানালাইসিস’ ডিসেম্বর ২০২০ বুলেটিন বলছে, বিগত ১ বছরে গড়ে ভিয়েতনামে ৪৬%, থাইল্যান্ডে ১৫%, ইউএসএতে ১০% বেড়েছে। ভারতে চালের দাম স্থিতিশীল থাকলও বাংলাদেশে সহনীয়পর্যায়ে কিছুটা বেড়েছে, যা শতকরা হিসেবে ১.৭ ভাগ। তবে সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিদেশ থেকে চাল আমদানির করছে। চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে ২৫% করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও চাল আমদানির সুযোগ দেয়া হয়েছে। আমদানির ফলে ইতোমধ্যে চালের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় চলে এসেছে।
সব মিলিয়ে আমরা যদি দেখি, এখন পর্যন্ত সরকার দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সফল হয়েছে। এক বছরে সরকার খাদ্য নিয়ে দেশের মানুষকে বড় কোন সমস্যায় পড়তে দেয়নি। এতদসত্তে¡ও, আমাদের আত্মতুষ্টিতে থাকার খুব সুযোগ নেই। কারণ, এফএওর ‘ক্রপস প্রসপেক্টস ও ফুড সিচুয়েশন’ ডিসেম্বর ২০২০ প্রতিবেদন অনুযায়ী যে ৪৫টি দেশের খাদ্য ক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগিতা প্রয়োজন, তার মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। আফ্রিকার ৩৪টি, এশিয়ার ৯টি ও ল্যাটিন আমেরিকা ও  ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ২টি দেশ এ তালিকায় রয়েছে।
তা ছাড়া করোনার প্রকোপের এক বছর অতিক্রান্ত হলেও ভাইরাসটি পূর্বের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে।  পাওয়া যাচ্ছে করোনার নতুন ধরন বা স্ট্রেইন। সুখবর হচ্ছে মানবদেহে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। অন্য দিকে এই সুখবরের মধ্যে হতাশার জল ঢেলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। সংস্থাটি সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, চলমান করোনাই শেষ নয়, সামনে আরও ভয়াবহ মহামারি আসতে পারে। সেজন্য বিশ্বকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তার সাথে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ। প্রয়োজন অংশীজনের অংশগ্রহণ য়
সিনিয়র তথ্য অফিসার, কৃষি মন্ত্রণালয়, ই-মেইল :  নুঁধহশধসৎঁষ@মসধরষ.পড়স, মোবাইল : ০১৬৭২৮৯৭৭৮৯