Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

লিচুর ক্ষতিকর পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা

লিচুর ক্ষতিকর পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা
ড. মোঃ জুলফিকার হায়দার প্রধান
লিচু বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সুস্বাদু ফল। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ১৩.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ০.৫ গ্রাম আশ, ১.১ গ্রাম আমিষ, ০.২ গ্রাম চর্বি, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২, ৩১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি এবং ৮৪.১ গ্রাম জলীয় অংশ রয়েছে। লিচুতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণ করে থাকে। ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণে মাঠে লিচুর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নষ্ট হয়ে যায়। দেশের অধিকাংশ কৃষক এসব ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে দীর্ঘস্থায়ী বালাইনাশক প্রয়োগ করেন এবং বালাইনাশকের অপেক্ষমান সময় শেষ হওয়ার পূর্বেই ফল সংগ্রহ ও বাজারজাত করেন। যেহেতু লিচু সরাসরি ভক্ষণ করা হয় এজন্য বালাইনাশক নির্বাচন ও প্রয়োগের সময় সঠিক না হলে এর অবশিষ্টাংশ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এমতাবস্থায় ক্ষতিকর পোকামাকড় হতে লিচু ফসল রক্ষার জন্য এদের আক্রমণের ধরন ও  সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা অত্যন্ত জরুরি। নি¤েœ লিচুর প্রধান প্রধান পোকামাকড়ের আক্রমণ এবং এদের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
ফল ছিদ্রকারী পোকা : এটি লিচুর একটি অন্যতম প্রধান ক্ষতিকর পোকা। স্ত্রী পোকা বাড়ন্ত ফলের বোটার কাছে খোসার নিচে ডিম পাড়ে। সদ্যজাত লার্ভা দুধের ন্যায় সাদা, লম্বাটে, মাথা হালকা বাদামি বর্ণের, এরা বোঁটার নিকট দিয়ে ফল ছিদ্র করে ফলের পালপ খায় এবং বীজে আক্রমণ করে। আক্রান্ত ফলের বোটার কাছে কালো দাগ ও করাতের গুঁড়ার মতো মিহি গুঁড়া দেখা যায়। ফল খাওয়ার অনুপযোগী ও ফেটে যায়। পূর্ণতাপ্রাপ্ত লার্ভা ফল থেকে বের হয়ে আসে এবং সাধারণত পুরাতন পাতায় কোকুন তৈরি করে পিউপায় পরিনত হয়। উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা (বিশেষ করে ফল পরিপক্বতার সময়) ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতে এদের আক্রমণ বেশি হয়।
ব্যবস্থাপনা : পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করতে হবে; মাটিতে পতিত এবং গাছে আক্রান্ত ফল লার্ভাসহ নষ্ট করতে হবে; ফলের থোকা মশারীর নেট অথবা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে স্ত্রী পোকা ডিম না পাড়তে পারে; গাছে ফুল আসার পূর্বে নিম তেল (৪ মিলি/ লিটার) স্প্রে করা যেতে পারে। এতে স্ত্রী পোকা ডিম পাড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়; ফল ধারনের ১০ দিন পর ফলের আকার মটর দানার মতো হলে ইমিডাক্লোরপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক (১ মিলি/লিটার) প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে ফুল ফোটার পর থেকে ফল ধারন পর্যন্ত স্প্রে করা যাবে না কারণ এতে পরাগায়ন বিঘিœত হতে পারে। বিকেল বেলা স্প্রে করা উত্তম।
পাতা মোড়ানো পোকা : পোকার লার্ভা পাতা মুড়িয়ে ফেলে ভেতরে অবস্থান করে খায়। গাছে নতুন পাতা বের হওয়ার পর এরা পাতায় আক্রমণ করে। অতিরিক্ত আক্রমণে গাছের সম্পূর্ণ নতুন পাতা আক্রান্ত হতে পারে। গাছের খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় ও ফলন কমে যায়। স্ত্রী পোকা পাতায় একটি একটি করে ডিম পাড়ে। মাটিতে পতিত পাতায় এরা পিউপা ধাপ সম্পন্ন করে। ডিম, লার্ভা ও পিউপা ধাপ যথাক্রমে ৩,১৬ ও ১১ দিন হয়ে থাকে ।
ব্যবস্থাপনা : আক্রান্ত ডগা লার্ভাসহ নষ্ট করতে হবে; মোড়ানো পাতা লার্ভাসহ সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে; অত্যধিক আক্রমণে স্পাইনোসেড (০.৪ মিলি/ লিটার) প্রয়োগ করা যেতে পারে।
পাতা জড়ানো পোকা : পোকার লার্ভা পাতার পুষ্পমঞ্জরি, শীর্ষস্থ অংশ, ফলের বোঁটা ও কচি ফলে আক্রমণ করে। এরা সাধারণত পুষ্পমঞ্জরি ও ফলের বোটকে জড়িয়ে ফেলে ভেতরে অবস্থান করে এবং রস চুষে খায়। এরা সিল্ক জাতীয় এক ধরনের সুতা নিঃসরণ করে সমস্ত অংশকে একত্র করে। অতিরিক্ত আক্রমনে গাছের পুষ্পমঞ্জরি শুকিয়ে খড়ের মতো হয়ে যায় এবং ফল ধারণ সম্পূর্ণরূপে ব্যহত হয়। এরা কচি ফলগুলোকেও জড়িয়ে ফেলে, আক্রান্ত কচি ফল ঝরে পড়ে। জড়ানো অংশের ভেতরে এরা রেশমি কোকুনের ভিতরে পিউপা ধাপ সম্পন্ন করে।
ব্যবস্থাপনা : আক্রান্ত অংশ লার্ভা ও পিউপাসহ নষ্ট করে ফেলতে হবে। অত্যধিক আক্রমণে স্পাইনোসেড (০.৪ মিলি/ লিটার)/ ইমিডাক্লোরপ্রিড (১ মিলি /লিটার) প্রয়োগ করা যেতে পারে।
লুপার : বাংলাদেশে সম্প্রতি এ পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে।  লার্ভা গাছের নতুন কচি পাতায় আক্রমণ করে মধ্য শিরা ব্যতীত সম্পূর্ণ অংশ খেয়ে ফেলে । এরা গাছের শীর্ষস্থ অংশ, কচি ফুল ও ফলের নরম বোটাতেও আক্রমণ করে। অতিরিক্ত আক্রমণে গাছের সব নতুন পাতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।  লার্ভার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে।  এরা প্রাকৃতিক শক্রু হতে নিজেদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনে গাছে নিশ্চুপ কাঠির মতো অবস্থান করে, দেখে মনে হয় যেন একটি মরা শাখা। স্ত্রী পোকা পাতার নিচের দিকে ডিম পাড়ে যা ৪-৫ দিন পর ফুটে সদ্যজাত লার্ভায় পরিণত হয়। লার্ভা ধাপ ৯-১৩ দিন। লার্ভার চলাচলের পদ্ধতির জন্য এদের লুপার বলা হয়। এরা দেহের সামনের অংশের ৩ জোড়া প্রকৃত পা এবং পেটের ষষ্ট ও দশম খ-াংশে অবস্থিত ২ জোড়া প্রলেগের (চৎড়ষবম) মাধ্যমে সামনের দিকে ধাবিত হয় ফলে চলার সময় লুপ তৈরি হয়। পিউপা ধাপ ৬-৭ দিন।  এরা পাতার উপরের অংশে রেশমি সুতার সাহায্যে পিউপা ধাপ সম্পন্ন করে যা বাহির থেকে দেখা যায়। পূর্ণ বয়স্ক পোকা ২-৩ দিন বাচে।
ব্যবস্থাপনা :  আক্রান্ত গাছ থেকে লার্ভা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে;  এরা পাতায় পিউপা ধাপ সম্পন্ন করে যা বাহির থেকে দেখা যায়, পিউপা গুলি সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে; অত্যাধিক আক্রমণে স্পাইনোসেড (০.৪ মিলি/লিটার) অথবা ক্লোরফিনাপির (১ মিলি/লিটার) প্রয়োগ করা যেতে পারে।
লাল উইভিল পোকা :  উইভিল দেখতে উজ্জ্বল বাদামি লাল বর্ণের, ৫-৭ মিলিমিটার লম্বা এবং লম্বাটে শুঁড় বিশিষ্ট। এরা গাছের নতুন পাতার উপরিভাগ ছিদ্র করে খায় ফলে পাতায় ঠোকরানোর মতো অনিয়মিত হালকা গর্ত দেখা যায়। এরা নরম কচি কা-েও আক্রমণ করে। অতিরিক্ত আক্রমণে ব্যাপকভাবে কচি পাতা ও বাড়ন্ত ডগা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নতুন স্থাপিত বাগান ও চারা গাছেও এদের আক্রমণ দেখা যায়।
ব্যবস্থাপনা : আক্রান্ত শাখার নিচে উল্টানো ছাতা বা বড় পলিথিন ব্যাগ রেখে জোরে ঝাঁকি দিলে পোকা নিচে পড়ে, পতিত পোকা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে; অত্যধিক আক্রমণে স্পাইনোমেড (০.৪ মিলি/লিটার অথবা ক্লোরাফিনাপির (১ মিলি/লিটার) অথবা ডাইমেথোয়েট (২ মিলি/লিটার) প্রয়োগ করা যেতে পারে-
পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা ঃ লার্ভা পাতার উপত্বকের নিচে আঁকাবাঁকা সুরঙ্গ করে সবুজ অংশ খায়। পাতা কুঁকড়ে বিবর্ণ হয়ে শুকিয়ে যায়।
ব্যবস্থাপনা :  আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে; আঠালো হলুদ ফাঁদ প্রয়োগ করতে হবে; জৈব বালাইনাশক বায়োম্যাক্স এম ১.২ ইসি (১ মিলি/লিটার) অথবা স্পাইনোসেড (ট্রেসার ৪৫ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৪০ মিলি অথবা সাকসেস ১.২ মিলি) ¯েপ্র করতে হবে।
বাগঃ নিমফ ও পূর্ণবয়স্ক পোকা গাছের শীর্ষস্থ কচি অংশ, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কুড়ি, পাতার বোটা, পুষ্পমঞ্জরি ও কচি ফল থেকে রস চুষে খায়। অতিরিক্ত আক্রমণে বর্ধনশীল কুড়ি ও শীর্ষস্থ শাখা শুকিয়ে যায় । এরা কচি ফল থেকেও রস চুষে খায়। গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও ফলন কমে যায়। স্ত্রী পোকা পাতার নিচের দিকে গুচ্ছাকারে প্রতি গুচ্ছে ১৪টি ডিম পাড়ে।
ব্যবস্থাপনা : আক্রান্ত শাখার নিচে উল্টানো ছাতা বা বড় পলিথিন ব্যাগ রেখে জোরে ঝাঁকি দিলে পোকা নিচে পড়ে, পতিত পোকা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে; পাতায় পোকার ডিমের গুচ্ছ দেখা যায়, যা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হয়; অত্যধিক আক্রমণে স্পাইনোসেড (০.৪ মিলি/লিটার) অথবা ডাইমেথোয়েট (২ মিলি/লিটার) প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বাগ ওয়ার্ম
পোকার লার্ভা পাতার সবুজ অংশ আচড়িয়ে (ঝপৎধঢ়) খায়, শিরা উপশিরা ব্যতীত সমস্ত সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। আক্রান্ত পাতা তামাটে বর্ণের হয়ে যায়। এরা পুরাতন পাতা বেশি পছন্দ করে কারন এতে বেশি পরিমাণে ট্যানিন থাকে। সদ্যজাত লার্ভা শুকনো ডগা, ছাল ও নিঃসৃত পদার্থ দ্বারা রেশমি ব্যাগ তৈরি করে ভেতরে অবস্থান করে । গাছের ডাল ও পাতায় ব্যাগগুলো ঝুলিয়ে থাকে। যদি ব্যাগ খুলে লার্ভা বিচ্ছিন্ন করা হয় তাহলে এরা দুই দিনের মধ্যে পুনরায় ব্যাগ তৈরি করতে পারে। লার্ভার চলাচল খুবই মন্থর, শামুকের মতো, খাওয়ার সময় লার্ভা শুধুমাত্র মাথা বের করে থাকে। অতিরিক্ত আক্রমণে পাতার সবুজ অংশ নষ্ট হওয়ায় খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া বিঘিœত হয় ও ফলন কমে যায়।
ব্যবস্থাপনা : আক্রান্ত গাছ হতে সিল্ক জাতীয় ব্যাগ সংগ্রহ করে লার্ভাসহ নষ্ট করে ফেলতে হবে; অত্যাধিক আক্রমণে ক্লোরপাইরিফস (২ মিলি/লিটার) অথবা ইমিডাক্লোরপ্রিড (০.৫ মিলি/লিটার) প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বাকল খেকো পোকা : স্ত্রী পোকা নরম ছালের নিচে, ডালের কাটা অংশে, ভেঙে যাওয়া শাখায় ডিম পাড়ে। ৮-১০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়। সদ্যজাত লার্ভা গাছের বাকল খায়, সাধারণত দুই শাখার মাঝামাঝি এলাকায় কা- ছিদ্র করে ক্রমান্বয়ে ভেতরে ঢুকে, জাইলেম টিস্যু নষ্ট করে। লার্ভাগুলো ৯-১১ মাস পর্যন্ত কা-ে অবস্থান করে খায়। অতিরিক্ত আক্রমণে কা- দুর্বল হয়, শাখা শুকিয়ে যায় এবং গাছের ফল ধারণক্ষমতা কমে যায়। দিনের বেলায় লার্ভা আক্রান্ত গাছের ছিদ্রের ভেতরে অবস্থান করে এবং রাতে বের হয়ে আসে। সাধারণত বয়স্ক গাছে আক্রমণ বেশি হয়। আক্রান্ত গাছে কাঠের গুঁড়া, পোকার মল ও সিল্কের মতো পদার্থের সমন্বয়ে বাঁকানো ফিতার মতো গ্যালারি দেখা যায়। বর্ষাকালে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।
ব্যবস্থাপনা : আক্রান্ত গাছ হতে বাকানো গ্যালারী সংগ্রহ ও পুড়িয়ে ফেলতে হবে; ছিদ্রে লোহা ঢুকিয়ে পোকার লার্ভা মেরে ফেলতে হবে; সিরিঞ্জের সাহায্যে গর্তে কেরোসিন ঢেলে কাদা দিয়ে গর্ত ঢেকে দিতে হবে; অতিরিক্ত আক্রমণে আক্রান্ত অংশে ক্লোরপাইরিফস (২ মিলিলিটার/লিটার) স্প্রে করতে হবে।
মাকড় : মাকড় লিচু গাছের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। এরা অত্যন্ত ক্ষদ্র আকারের, খালি চোখে দেখা যায় না। স্ত্রী মাকড় পাতার নিচের দিকের লোমে একটি একটি করে ডিম পাড়ে, ২-৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে। নিম্ফ ও পূর্ণ বয়স্ক মাকড় পাতার কোষ ছিদ্র করে রস চুষে খায়। ক্রমাগত রস শোষণের ফলে আক্রান্ত অংশ লাল মখমলের মতো হয়। আক্রান্ত পাতা মোটা ও বাকা হয়। এরা পুষ্পমঞ্জরি  ও বর্ধনশীল ফলেও আক্রমণ করে। আক্রান্ত ডালে নতুন পাতা হয় না, আক্রান্ত ফুলে ফলধারণ ব্যাহত হয়, পাতার নিচের দিকে গল সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত আক্রমণে ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়।
ব্যবস্থাপনা : আক্রান্ত পাতা ও পুষ্পমঞ্জরিসহ অন্যান্য আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে; আক্রান্ত গাছে এবামেকটিন  (১.২৫ মিলি/লিটার), প্রোপারগাইট (৩ মিলি/লিটার) অথবা ক্লোরফিনাপির (১ মিলি /লিটার) স্প্রে করতে হবে।

লেখক : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কীটতত্ত্ব), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সেউজগাড়ী, বগুড়া, মোবাইল : ০১৭১৬০৭১৭৬৪,  ই-মেইল :zulfikarhaider@yahoo.com