Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

পেঁয়াজের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন পরাগায়ন এবং স্বাতন্ত্র্যীকরণ

পেঁয়াজের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন
পরাগায়ন এবং স্বাতন্ত্র্যীকরণ
ড. মো. আলাউদ্দিন খান১ মো. মুশফিকুর রহমান২
সলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ (অষষরঁস পবঢ়ধ খ.) বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। এ দেশে প্রায় ১.৯৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে বছরে প্রায় ২৩ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। প্রতি বছর প্রায় ১৮০০-২০০০ হেক্টর জমিতে “কালো সোনা” নামে পরিচিত পেঁয়াজের বীজ উৎপাদিত হয়, যার ফলন গড়ে ৬৫০ কেজি/হেক্টর। পেঁয়াজ চাষে বীজ হার ৬ কেজি/হেক্টর ধরলে বছরে প্রায় ১০০০-১১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বীজের প্রয়োজন হয়, যার সিংহ ভাগই কৃষক উৎপাদন করে। কিন্তু চাহিদার সামান্য অংশ (৫-৭%) সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান/প্রাইভেট কোম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত বীজ মানসম্পন্ন। কৃষক নিজেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও ব্যবস্থাপনায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন এবং সংগ্রহ করে। এ বীজই দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের মাধ্যমে কন্দ উৎপাদিত হয়। পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের নিয়ম না মানার কারণে কৃষক কর্তৃক উৎপাদিত বীজ নিম্নমানের হওয়ায় কন্দের ফলন ও গুণগত মান উভয়ই নিম্নমানের হয়। পেঁয়াজে পর-পরাগায়ন সংঘটিত হয়। বিধায় বিভিন্ন জাতের মধ্যে মিশ্রণ প্রতিরোধে স্বাতন্ত্র্যীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেঁয়াজের ফুলে বিভিন্ন প্রজাতির পোকা ভ্রমণ করে থাকে। পেঁয়াজের ফুলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরাগবহনকারী হলো মৌমাছি, কারণ তাদের নিজস্ব বাসা থাকে। পেঁয়াজের ফুলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পরাগায়নকারী পোকাগুলো হলো মৌমাছি, হুলবিহীন মৌমাছি, ঘরেরমাছি, সবুজ বোতল ফ্লাই, হোভার/সিরফিড ফ্লাই, পেঁয়াজের থ্রিপস। প্রতিদিন নয় তবে প্রচুর পরিমাণে পরাগায়ন সংঘটনকারী পোকা হলো ট্রু ফ্লাই, নীল বোতল ফ্লাই, বিটল পোকা, ফ্লাওয়ার বাগ। তাছাড়া প্রজাপতি, মথ, ঘাসফড়িং, ড্রাগনফ্লাই, বোলতা, ভীমরুল, ভ্রমর, পিঁপড়া, হ্যালিকটিড মৌমাছি, সলিটারি মৌমাছি, ড্রোন ফ্লাই ইত্যাদি মাঝে মাঝে পরাগায়ন সংঘটিত করে। পেঁয়াজে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমেও পরাগায়ন হয়।
পেঁয়াজে উত্তম পরাগবহনকারী  এবং এর কার্যক্রম : অন্যান্য মধুধারী ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। স্ত্রী মৌমাছি সাধারণত ফুল থেকে দুই ধরণের প্রতিদান যেমন, মধু এবং পরাগরেণু খুঁজে খুঁজে সংগ্রহ করার জন্যই ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়। এভাবে মৌমাছি এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ঘুরে বেড়ানোর সময়ই অন্য ফুলের গর্ভমু-ে পরাগরেণু স্থানান্তরিতের মাধ্যমে পরাগায়ন এবং পরিশেষে বীজ উৎপাদন হয়। পেঁয়াজ ফুলের পরাগরেণু আঠালো এবং মৌমাছির দেহ লোমাবৃত বিধায় পরাগরেণু বহনে খুবই উপযোগী। মৌমাছি ভ্রমণের সময় এককালীন একই প্রকার ফুলের প্রতি মনোনিবেশ করে থাকে, ফলে পরাগায়নের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
পরাগবহনকারীর সক্রিয়তা নির্ভরকারী নিয়ামক : পরাগবহনকারীর সক্রিয়তা নির্ভরকারী উপাদানগুলো হলো পোকার সংখ্যা, শ্রেণী, আকার, গায়ে লোমের সংখ্যা, ফুলের আকার, রং, গন্ধ, মধুর পরিমাণ ও ধরন, মধুতে পটাশিয়ামের পরিমাণ, পরাগরেণুর ধরন, মধু ও পরাগরেণু সংগ্রহকালীন স্বভাব, ভ্রমণের সংখ্যা, কলোনী যুক্ত মৌ-বক্সের সংখ্যা, পার্শ¦বর্তী ফসলের ধরন, কীটনাশক ব্যবহার, আবহাওয়া, মৌমাছির আবাসস্থল, বৈষ্যিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি ইত্যাদি।  হলুদ ফুলে মৌমাছি বেশি যায় বিধায় সরিষা, মৌরি ইত্যাদি পাশর্^বর্তী ফসল হিসাবে চাষ না করাই ভালো। নিয়ন্ত্রিত পরাগায়নের সাফল্য মৌ-বক্সের সংখ্যার উপরও নির্ভর করে। হেক্টরে ১০টির কম মৌ-বক্স হলে পরাগায়নের হ্রাস পায়। যে ফুল থেকে বেশি লাভজনক মধু উৎপাদন হয় এমন ফুলের প্রতি মৌমাছির অধিক আকর্ষণ থাকে। পেঁয়াজের ফুলের মধুতে সুক্রোজ, গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে। ইহা বিভিন্ন পোকার জন্য খুবই মূল্যবান খাবারের উৎস, ফলে পোকা আকৃষ্ট হয়। পেঁয়াজের ফুলের মধুতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকলে তা মৌমাছির জন্য অপছন্দনীয়। পেঁয়াজের জাতভেদে ও উৎপাদনের অঞ্চলভেদে মধুতে পটাশিয়ামের পরিমাণ তারতম্য হয়। মাঠ বেশি শুষ্ক কিংবা বেশি ভিজা থাকলে ফুলে মধুর পরিমাণ হ্রাস পায়। উজ্জ্বল রোদে পোকার সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। মৌমাছি সকাল ৮.০০টা থেকে বিকাল ৪.০০ টার মধ্যে ফুল থেকে মধু ও পরাগরেণু সংগ্রহ করে থাকে, তবে উত্তম সময় সকাল ১১.০০ থেকে দুপুর ১২.০০ টার মধ্যে। বীজ উৎপাদনের কাছাকাছি এলাকার মধ্যে মৌমাছির বাসা না থাকলে জমিতে মৌমাছির সংখ্যা কম থাকাই স্বাভাবিক। মৌমাছির জন্য ফুলে ভ্রমণ উপযোগী তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহের গতি এবং মেঘের পরিমাণ যথাক্রমে >২১ক্ক সে., ৭৫%, ২৫ কিমি./ঘণ্টা এবং মেঘমুক্ত আকাশ বা কম মেঘ। পেঁয়াজের পরাগরেণু ভিজা হওয়ায় বায়ু প্রবাহের মাধ্যমে পরাগায়নের হার কম হয়। অযাচিতভাবে কীটনাশকের ব্যবহার, খরা, মৌমাছির আবাসস্থল ধ্বংস, মৌমাছির খাবার ঘাটতি, বায়ু দূষণ, বৈষ্যিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি, অতি বৃষ্টি, রোগবালাই ইত্যাদির কারণে মৌমাছি মারা যেতে পারে।
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে উপযুক্ত পর-পরাগায়নের গুরুত্ব : পেঁয়াজ ফুলের গর্ভমু-ের  গ্রহণক্ষমতার পূর্বেই পরাগরেণু ঝরে যায়। তাই পেঁয়াজে পর-পরাগায়নের জন্য পরাগরেণু অবশ্যই একই গাছের অন্য ফুল কিংবা আলাদা গাছের ফুল থেকে আসতে হয়। পেঁয়াজের একই ফুলের মধ্যে স্ব-পরাগায়ন অসম্ভব। গবেষণা প্রতিবেদন মতে পেঁয়াজে ১০০% পর-পরাগায়ন সংঘটিত হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮৭%, ১০% এবং ৩% যথাক্রমে মৌমাছি, বায়ুপ্রবাহ এবং অন্যান্য পরাগবহনকারীর মাধমে পরাগায়ন সংঘটিত হয়। এ পরিসংখ্যানগত তথ্যের মধ্যে অঞ্চল/দেশভেদে ভিন্নতা রয়েছে। পোকার মধ্যে মৌমাছি মধু ও পরাগরেণুর উপর নির্ভরশীল। অন্যান্য পরিচর্চা নিখুঁতভাবে হলেও প্রাকৃতিক পরাগবহনকারীর অনুপস্থিতিতে বীজ উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পরে। প্রাকৃতিক পরাগবহনকারীর অভাবে অপর্যাপ্ত পরাগায়নের কারণে কদমে বীজ উৎপাদনের পরিমাণ একেবারেই হ্রাস পেতে পারে। এ সমস্যার ফলে কদমে যে পরিমাণ বীজ উৎপন্ন হয় তার অধিকাংশ বীজই অপুষ্ট এবং ছোট হয়। বীজের অঙ্কুরোদগম হার ও ফলন উভয়ই হ্রাস পায়। উপযুক্ত পরাগায়নের ফলে বীজের ফলন এবং গুণগত মান উভয়ই বৃদ্ধি পায়।
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে উপযুক্ত স্বাতন্ত্র্যীকরণের গুরুত্ব : একই প্রজাতির জাতের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের প্রত্যাশিত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফসলের দুই বা ততোধিক জাতের মধ্যে পৃথিকীকরণের যে পদ্ধতির প্রয়োজন হয় তাকে স্বাতন্ত্র্যীকরণ (ওংড়ষধঃরড়হ) বলে। পেঁয়াজ পর-পরাগায়িত ফসল বিধায় স্বাতন্ত্র্যীকরণ বিভিন্ন জাতের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত পর-পরাগায়ন প্রতিরোধ করে কিংবা পর-পরাগায়নের সম্ভাবনা পরিহার বা সীমিত করে প্রতিটি জাতের সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে। পেঁয়াজের কন্দ উৎপাদনে প্রাথমিক চাহিদা হলো বিভিন্ন জাতের মানসম্পন্ন বীজের প্রাপ্যতা। মানসম্পন্ন বীজের মাধ্যমে কন্দের ফলন এবং গুণগতমান উভয়ই ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের সময় জমিতে অফ-টাইপ গাছের সর্বাধিক অনুমোদিত সীমা হলো ০.১-০.২%। এ তথ্য থেকে স্বাতন্ত্র্যীকরণের গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়। প্রতি বছর সঠিক স্বাতন্ত্রীকরণের নিয়ম না মেনে বীজ উৎপাদনের কারণে সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন পেঁয়াজের জাতগুলোর উন্নত বৈশিষ্ট্য ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। তাই পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে স্বাতন্ত্র্যীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
পেঁয়াজে উপযুক্ত স্বাতন্ত্র্যীকরণের ব্যবস্থাপনা : পর-পরাগায়িত ফসল বিধায় জাতের স্বকীয় মানবজায় রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতের বীজ উন্মুক্তভাবে পাশাপাশি জমিতে উৎপাদন করা যায় না। পেঁয়াজের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত স্বাতন্ত্র্যীকরণ পদ্ধতি।
বীজ উৎপাদনে স্বাতন্ত্র্যীকরণ দূরত্ব : একই প্রজাতির জাতের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের প্রত্যাশিত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফসলের দুই বা ততোধিক জাতের মধ্যে যে সর্বনিম্ন পৃথিকীকরণ দূরত্বের প্রয়োজন হয় তাকে স্বাতন্ত্র্যীকরণ দূরত্ব বলে। বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট স্বাতন্ত্র্যীকরণ দূরত্ব বজায় রাখা জরুরী। পেঁয়াজে ভিত্তি বীজ এবং প্রত্যয়িত বীজ উৎপাদনের জন্য স্বাতন্ত্র্যীকরণ দূরত্ব যথাক্রমে ১০০০ ও ৫০০ মিটার। পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন কন্দ থেকে হয় বিধায় মাতৃ কন্দের শারীরিক গুণাবলিও মানসম্পন্ন হতে হয়। মাতৃ কন্দ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন জাতের মধ্যে কমপক্ষে ৫ মিটার স্বাতন্ত্র্যীকরণ দূরত্ব বজায় রাখা ভালো। মূলত কৃষকের পর্যাপ্ত জমি না থাকার কারণে একই জমিতে বিভিন্ন জাতের বীজ উৎপাদন করে থাকে। এ সমস্যা সমাধানে বীজ উৎপাদনকারী কৃষকগণ সমবায় পদ্ধতিতে “এক গ্রামে এক জাত (ঝববফ ারষষধমব পড়হপবঢ়ঃ)”-র নীতি মেনে বীজ উৎপাদন করলে জাতের মিশ্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এ নীতিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন সহজ হবে, পাশাপাশি কৃষকদের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব ব্রান্ডের বীজ উৎপাদিত হবে, যা সহজেই বাজারজাত করা যাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অংশীজন যেমন, সরকারের নির্দেশনা, সরকারি-বেসরকারি গবেষণা, সম্প্রসারণ বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় এবং সহযোগিতায় এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোতে তুলনামূলকভাবে নিম্ন তাপমাত্রা ও শুষ্ক আবহাওয়া দীর্ঘ দিন বিরাজ করে। ফলে উত্তর অঞ্চল বীজ উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী বিধায় সে অঞ্চলেও বিভিন্ন জাতের পর্যাপ্ত পরিমাণে মানসম্পন্ন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রতিরোধের মাধ্যমে স্বাতন্ত্র্যীকরণ  
পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা না থাকলে স্বাতন্ত্র্যীকরণ দূরত্ব বজায় রেখে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ভৌত বাধা সৃষ্টি করে যেমন, নাইলন কাপড় দিয়ে তৈরি জালের বড় খাঁচার মধ্যে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করা হয়। এ খাঁচার মধ্যে মৌ-বক্স স্থাপন করে পরাগায়নের ব্যবস্থা করে বীজ উৎপাদন করা হয়। তাছাড়া ঘরের মাছি চাষ করে খাঁচার মধ্যে ছেড়ে দিয়েও পরাগায়নের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে এ পদ্ধতি অধিকতর কঠিন এবং ব্যয়বহুল। একক গাছ কিংবা সীমিত কিছু গাছের বীজ উদপাদনের জন্য নাইলনের ছোট ছোট থলে ব্যবহার করা হয়।

লেখক : ১প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ২বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র, বিএআরআই, ফরিদপুর। মোবাইল : ০১৭১১৫৭৩৩৬১, ই-মেইল : khanalauddinsrsc@gmail.com