গম ও ভুট্টাক্ষেতে ইঁদুর দ্বারা ক্ষতির
ধরন ও বাঁশের ফাঁদ প্রযুক্তি
ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান শাহ১ মো. ফরহাদ হোসেন২ ড. সালাহ্উদ্দিন আহমেদ৩
ইঁদুর বিশ্বব্যাপী কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে পরিচিত। ধান, গম, ভুট্টা ও বার্লির মতো প্রধান ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফল, বাদাম, শাকসবজি, ডাল এবং কন্দাল ফসলসহ অন্তত ৮০ প্রজাতির ফসলে এর ব্যাপক আক্রমণ পরিলক্ষিত হয় যা কৃষিক্ষত্রে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতি করে (ঝরহমষবঃড়হ বঃ ধষ.,২০১০)। বাংলাদেশে ইঁদুর দানাদার ফসলের ক্ষেতে যেমন ধ্বংসাত্মক তেমনি ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে ফসল সংরক্ষণের গুদামে। বাংলাদেশে দানাদার খাদ্য হিসেবে গম এবং ভুট্টার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় ইঁদুর একটি মারাত্মক বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে গমেরক্ষেতে এর আক্রমণ ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়, যা কৃষকের কাছে একটি বাড়তি চাপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তা ছাড়া ফসল সংগ্রহের পরে সংরক্ষিত অবস্থায় ইঁদুর নানাভাবে ক্ষতি করে। খেয়ে ফেলা, চাবানো, উচ্ছিষ্ট ত্যাগ কিংবা পশমের মাধ্যমে ফসল বা খাদ্যের গুণগত মান ব্যাপকভাবে হ্রাস করছে এবং এর সাথে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।
গবেষণামতে ইঁদুর গমের ক্ষেতে পর্যাপ্ত ক্ষতি করে এমনকি এলাকাভেদে এটি গমের মোট উৎপাদন ২০% পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় শুধুমাত্র দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় গমের ক্ষেতে ইঁদুর এক বছরে মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করতে পারে (চরসবহঃবষ বঃ ধষ., ২০০৫)। ১৯৯৯ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় ভারতে গম ফসলে শুধুমাত্র ইঁদুরের আক্রমণেই বছরে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় (চধৎংযধফ, ১৯৯৯)।
বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে দানাদার খাদ্য হিসেবে গম বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং ইঁদুরের আক্রমণে গম ফসলে বছরে প্রায় শতকরা ৪ থেকে ১২ ভাগ ক্ষতি হয়। গম যত পরিপক্ব হতে থাকে ক্ষতির পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে। ইঁদুর গাছ কেটে গমসহ শীষ গর্তে নিয়ে প্রচুর ক্ষতিসাধন করে থাকে। একটি ইঁদুর এক রাতে ১০০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত কুশি কাটতে সক্ষম।
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ইঁদুরের আক্রমণে ভুট্টায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতির চিত্র লক্ষ করা যায়। বীজ বপন ও চারা অবস্থায় সাধারণত ভুট্টা ক্ষেতে ইঁদুর আক্রমণ বেশি করে। এক গবেষণায় সংগ্রহোত্তর ও সংগ্রহপূর্ব পর্যায়ে ইঁদুর দ্বারা ভুট্টায় ব্যাপক ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়। সেখানে ইঁদুরের উপদ্রবে ভুট্টার ফলনে ক্ষতি ৫% থেকে ১৫% পর্যন্ত এবং ফসল কাটার পরে সঞ্চিত শস্যে ক্ষতি কখনো কখনো ২০% পর্যন্ত পৌঁছে যায় (গধিহলধনব, খবরৎং, ্ গধশঁহফর, ২০০২)। সঞ্চিত ভুট্টায় ইঁদুর দ্বারা অবাঞ্ছিত পদার্থের মিশ্রণে বাজারমূল্য হ্রাস পায় এবং পরবর্তী বাণিজ্যে বাতিল বলে গণ্য হয় (গধশঁহফর বঃ ধষ., ২০০৫)।
বাংলাদেশে ভুট্টা তুলনামূলক নতুন ফসল হিসেবে পরিগণিত হলেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন চাষাবাদের বিস্তৃতি বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শুধুমাত্র রবি মৌসুমেই ৫.৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে ভুট্টার উৎপাদন ৬০.৮ লক্ষ মেট্রিক টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিপ মৌসুমে ৮৬০০০ হেক্টর জমিতে এর উৎপাদন হয়েছে ৬.৮ লক্ষ মেট্রিক টন। বাংলাদেশে ভুট্টার জমিতে ইঁদুরের উৎপাত খুব একটা লক্ষ্য না করা গেলেও গুদামে যাতে আক্রমণ ঠেকানো যায় তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত দমন ব্যবস্থাপনা। গম ও ভুট্টার জমি ইঁদুর দ্বারা ক্ষতি নিরাময়ের জন্য যেসব কৌশল অবলম্বন করা হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মনিটরিং ও পর্যবেক্ষণ
প্রতি সপ্তাহে গম এবং ভুট্টাক্ষেত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ইঁদুরের কোন প্রকারের উপস্থিতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি না তা খেয়াল করতে হবে। যেমন-গর্ত বা গর্তের চিহ্ন, গর্তের মাটি, ইঁদুর হাঁটার রাস্তা, ইঁদুরের মল/লোম/গন্ধ, গাছ কাটার চিহ্ন ইত্যাদি। যদি এগুলোর কোনটি দেখা যায় তবে তৎক্ষণাৎ ইঁদুর দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ঘন ঘন ফসলের মাঠ পরিদর্শন করলে মানুষের উপস্থিতি দেখলে এমনিতেই ইঁদুরের আক্রমণ কমে যায়।
ইঁদুরের বাসস্থান ব্যবস্থাপনা
ইঁদুরের বাসস্থান ব্যবস্থাপনা কিছু কৌশলকে অন্তর্ভুক্ত করে যেখানে পরিবেশকে ইঁদুরের জন্য অনুপযোগী করে তোলা হয়। যেমন-নির্দিষ্ট একটি জমিতে ফসলের ধরন বদলিয়ে চাষাবাদ করে ইঁদুরের খাদ্য সংস্থান ব্যাহত করা যায়। ফসলের অবশিষ্টাংশ, পতিত ফসল এবং অন্যান্য সম্ভাব্য খাদ্য উৎস অপসারণ করে ইঁদুর সংখ্যা কমানো যায়। গভীরভাবে চাষ দিয়ে ক্ষেতে ইঁদুরের গর্ত বাসা বাঁধার স্থান ধ্বংস করা যায়। ক্ষেতের কিনারা এবং সেচের নালার লম্বা ঘাস এবং আগাছা পরিষ্কার করে ইঁদুরের আচ্ছাদন এবং খাদ্যের উৎস হ্রাস করা যায়। জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করে অথবা নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করে কিছু ইঁদুর প্রজাতির প্রজনন স্থান হ্রাস করা যায়। ক্ষেতের চারপাশে বেড়া দিয়ে ইঁদুরের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা যায়। ইঁদুর যেহেতু অপরিচ্ছন্ন স্থান পছন্দ করে, সেহেতু ফসলের মাঠ, খড়ের গাদ, বাড়িঘরসহ ইঁদুরের বংশবিস্তারের সব স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে বংশবৃদ্ধি কমানো সম্ভব (ইঁপশষব ্ ঝসরঃয, ২০১৫; ঈড়ৎৎরমধহ, ২০১১)।
কৃষিতাত্ত্বিক দমন ব্যবস্থাপনা
গম ছিটিয়ে না বুনে স্ট্রিপ টিলেজের মাধ্যমে সারি করে বপন করলে কিংবা বেড প্লান্টিং এর মাধ্যমে বেডে গম বুনে চাষ করলে ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ইঁদুরের আক্রমণ কম হয়। তাছাড়া গম ও ভুট্টা লাগানোর সময় আশেপাশের ঝোপঝাড়, উঁচু আইল বা ঢিবি ইত্যাদি জায়গায় ইঁদুরের গর্ত থাকলে সেখানে ফাঁদ পেতে বা গর্তেও ভেতর ইঁদুরনাশক রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে ইঁদুর মেরে ফেলতে হবে। জমির আইলগুলো নতুন করে কোদাল দিয়ে মেরামত করলে পরবর্তীতে গম বা ভুট্টার ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণ কম হবে।
যান্ত্রিক দমন ব্যবস্থাপনা
ইঁদুরের গর্তে পানি ঢেলে: ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে, গর্তে পানি ঢেলে দিলে ইঁদুর বেড়িয়ে আসবে এবং তখন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ইঁদুর মেরে ফেলতে হবে।
ইঁদুরের গর্তে ধোঁয়া দিয়ে : শুকনো গোবর ও মরিচের গুঁড়ার একত্রে গর্তের সামনে পুড়িয়ে ধোঁয়া গর্তের ভেতরে ঢুকিয়ে দিলে ইঁদুর বেড় হয়ে আসবে তখন ইঁদুরকে মেরে ফেলতে হবে।
ফাঁদ পেতে : ফাঁদ পেতে ইঁদুর ধরলে বিষাক্ত ইঁদুর থেকে পচনশীল মৃতদেহের দুর্গন্ধের সাথে মোকাবিলা করার পরিবর্তে ইঁদুরগুলোকে অবিলম্বে নিষ্পত্তি করা সহজ হয়। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফাঁদ ব্যবহার করলে বিষাক্ত ইঁদুরনাশক এড়ানো সম্ভব যা শিশু, পোষা প্রাণী এবং প্রাকৃতিক শিকারীসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষা করা সম্ভব হয়। সাধারণত ইঁদুর চলাচলের রাস্তায়, ফসলের আক্রান্ত স্থানে যেখানে ইঁদুরের কার্যাবলি সক্রিয় আছে এমনসব স্থানে হেক্টর প্রতি ৪০টির মতো ফাঁদ পাততে হবে। প্রথম অবস্থায় ২-৩দিন ফাঁদের ভেতর খাবার দিয়ে পেছনের দরজা খোলা রাখতে হবে যাতে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে ফাঁদের ভেতর খাবার দিয়ে পেছনের দরজাও বন্ধ করে দিতে হবে যাতে ইঁদুর ঢুকলে আর বের হতে না পারে, এভাবে পর পর ৩দিন ফাঁদ পেতে ইঁদুর ধরতে হবে। কমপক্ষে ৩০ দিন পরে পুনরায় একই পদ্ধতিতে ফাঁদ ব্যবহার করে ইঁদুর ধরতে হবে।
বাজারে কিংবা বাড়িতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পাওয়া যায়, নি¤েœ বহুল ব্যবহৃত কিছু ফাঁদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আলোকপাত করা হলো-
স্ন্যাপ ফাঁদ : এটি প্রাচীনতম ধরণের ফাঁদ এবং এটি একটি স্প্রিং-লোডেড বার ব্যবহার করে সংস্পর্শে থাকা ইঁদুর মারার জন্য। তবে বর্তমানে কিছু আধুনিক স্ন্যাপ ফাঁদ একটি প্লাস্টিকের বাক্সে ডিভাইসটিকে আবদ্ধ করে শিশু এবং পোষা প্রাণীদের ঝুঁকি হতে রক্ষা করে। ফসলের আক্রান্ত স্থানে এই ফাঁদ পেতে কিছুটা ইঁদুর দমন করা সম্ভব।
ইলেকট্রনিক ফাঁদ : এই ব্যাটারি চালিত ফাঁদ একটি বৈদ্যুতিক শক প্রদান করে যা দ্রুত ইঁদুরকে মেরে ফেলে। এটি একটি নতুন ধরনের ফাঁদ, এবং মডেল ইঁদুর এবং ইঁদুর উভয়ের জন্য উপলব্ধ।
জীবন্ত-প্রাণী ফাঁদ : এই ফাঁদের ভেতর শুঁটকি মাছ, ফুরলি বড়া, ছোট আলু, বিস্কুট, পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, শুকনা ফলমূল ইত্যাদি জাতীয় খাবার রেখে ফসলের আক্রান্ত এলাকায় ফাঁদ পাতলে সহজেই এর ভিতর ইঁদুর প্রবেশ করে ও আটকে যায়। অর্থাৎ এটি একটি ক্যাচ এবং রিলিজ সিস্টেম যা একটি ইঁদুর জীবন্ত অবস্থায় আটকানো হয়।
মাল্টিপল-ক্যাচ লাইভ মাউস ট্র্যাপ : এটি এক ধরনের ক্যাচ এবং রিলিজ সিস্টেম যার মাধ্যমে একাধিক ইঁদুর ক্যাপচার করা সম্ভব।
আঠালো ফাঁদ : আঠালো ফাঁদ পেতে রাখলে ইঁদুর এর উপর দিয়ে যাতায়াতের সময় আটকে থাকে এবং পরবর্তীতে সহজেই ইঁদুরটিকে মারা সম্ভব। তবে পাখি বা অন্যান্য উপকারী প্রাণীও এখানে আটকে যেতে পারে তা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
স্থানীয় ফাঁদ : বাঁশ বা কাঠের তৈরি স্থানীয়ভাবে অনেকেই ফাঁদ তৈরি করে থাকে বিশেষ করে আদিবাসি কিংবা উপজাতিদের নিজস্ব কিছু ঐতিহ্যগত ফাঁদের প্রচলন আছে। এই ফাঁদগুলো ইঁদুর ধরার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডাব্লিউএমআরআই)-এ ব্যবহৃত বাঁশের ফাঁদ
একটি বাঁশের চোঙ নিতে হবে যার মাঝে থাকবে একটি গিট্। গিটের একদিকে থাকবে ফাঁদ। অন্য দিকে ফাঁদ টাকে ঝটিকা টানার জন্য ধনুকের মতো বাঁকা বাঁশের কঞ্চি/বাতা থাকবে। পর পর দুটি ছিদ্র থাকবে সেই চোঙ এ। প্রথম ছিদ্রে থাকবে তারের ফাঁদ। চোঙের ভেতরের দিকের দেয়াল ঘেঁষে যা বেরিয়ে গিয়ে ধনুকের এক মাথায় আটকানো থাকবে। তারপরের ছিদ্র দিয়ে আসবে সুতো যা ধনুকটিকে প্রাথমিকভাবে টেনে রাখবে। গিটের দিকে গম বা ভুট্টা দিতে হবে ইঁদুরের খাবার হিসাবে। ইঁদুর চোঙ এর ভিতরে মাথা ঢুকিয়ে তারের ফাঁদ পেরিয়ে যখন গম বা ভুট্টা খেতে যাবে তখন সামনের সুতো বা রশিটি তার কাছে বিরক্ত মনে হবে। ইঁদুর তখন কেটে দিবে সুতো বা রশিটি। ব্যস তখনই বাঁশের কঞ্চি বা বাতা টান পড়বে এবং ইঁদুর আটকে যাবে। এই ফাঁদ দিয়ে প্রচুর ইঁদুর ধরা সম্ভব।
উপরে বর্ণিত পদ্ধতিসমূহের কোনটাই এককভাবে ১০০ শতাংশ ইঁদুর দমন করতে কার্যকরি নয়। সুতরাং সফলভাবে ইঁদুর দমন করতে গেলে পদ্ধতিসমূহ সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করতে হবে এবং গ্রাম/অঞ্চলভিত্তিক একসাথে সকল চাষি উদ্যোগ নিয়ে সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ করতে হবে।
লেখক : ১প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান, ২বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ৩মহাপরিচালক, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, নশিপুর, দিনাজপুর-৫২০০, মোবাইল-০১৭১২৫৬১৫৯২