বাণিজ্যিক ফলবাগানে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ
প্রফেসর আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ
একটা সময় ছিল যখন মানুষ মূলত বসতবাড়িতে ফলের চাষ করতো। তবে সময়ের পরিবর্তনে কৃষকরা এখন ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিকেও ঝুঁকছেন। গত দুই দশক ধরে বাণিজ্যিক চাষের সাফল্যের কারণে দেশে ফল উৎপাদনে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। আয়তনে বিশ্বের অন্যতম ছোট দেশ বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ১০টি শীর্ষ গ্রীষ্মম-লীয় ফল উৎপাদনকারী দেশের একটি। এ ছাড়া গত ১৮ বছর ধরে ফল উৎপাদনে গড়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
একই সঙ্গে নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। এত কম আয়তনের দেশ হয়েও ফল চাষে জমি বৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশে এখন ৭০-৮০ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে। শুধু ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির দিক থেকে নয়, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ফল খাওয়ার পরিমাণও গত এক যুগে দ্বিগুণ হয়েছে। একসময় দেশে কাঁঠাল ও আম ছিল প্রধান ফল। এখন অন্তত ২২ প্রজাতির ফল বাংলাদেশের মানুষ নিয়মিত খায়। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন ফল ড্রাগন ও অ্যাভোক্যাডো এবং দেশি ফল বাতাবিলেবু, তরমুজ, খরমুজ, লটকন, আমড়া ও আমলকীর মতো পুষ্টিকর ফলের উৎপাদনও ব্যাপক হারে বাড়ছে। এসব ফলের প্রায় পুরোটাই দেশে বিক্রি হচ্ছে। বিগত এক দশকে অনেক তরুণ শিক্ষিত উদ্যোক্তা বাণিজ্যিক ফলচাষে মনোনিবেশ করেছে। কিন্তু নিরাপদ ও গুণগত মানসম্পন্ন ফল উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানির জন্য এসব বাণিজ্যিক ফলচাষে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণের বাধ্যবাদকতা রয়েছে।
উত্তম কৃষি চর্চা হলো সামগ্রিক কৃষি কার্যক্রমে অনুসরণকৃত একগুচ্ছ নীতি-বিধি ও প্রযুক্তিগত সুপারিশমালা যা সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন, সংগ্রহ ও সংগ্রহত্তর ব্যবস্থাপনা এবং পরিবহনের বিভিন্ন স্তরে প্রয়োগ করা হয় যা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ, পণ্যের মান উন্নয়ন ও কৃষি শ্রমিকের সুস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ উন্নত করে থাকে। উত্তম কৃষি চর্চা সামগ্রিক কৃষি কার্যক্রমের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুরক্ষা সুসংহত করে। ফলশ্রুতিতে নিরাপদ এবং মানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত হয়। ইহা এমন পদ্ধতিসমূহের চর্চা যা খামারে প্রয়োগ করার ফলে উৎপাদন পূর্ব, উৎপাদনকালীন, সংগ্রহ এবং সংগ্রহোত্তর পর্যায় নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। উত্তম কৃষি চর্চার লক্ষ্য হলো নিরাপদ খাবার, পরিবেশ ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করা। এর সামগ্রিক উদ্দেশ্যসমূহ হলো - নিরাপদ ও খাদ্যমান সম্পন্ন ফসলের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিতকরণ; ফসল উৎপাদনে সহনীয় পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ সাধন; খাদ্য শৃঙ্খলের সকল স্তরে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করা; ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মানসম্পন্ন উচ্চমূল্য ফসল উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
ইউরোপের সুপারশপে কৃষিপণ্য সরবরাহকারীদের উদ্যোগে ১৯৯৭ সালে ইউরোপগ্যাপ নামে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম উত্তম কৃষি চর্চা কার্যক্রম শুরু হয়। যা পরবর্তীতে ২০০৭ সালে বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্লোবালগ্যাপ নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে আঞ্চলিক গ্যাপ (আশিয়ানগ্যাপ) ও বিভিন্ন দেশ তাদের নিজস্ব উত্তম কৃষি চর্চা বা গ্যাপ কার্যক্রম চালু করে। আমাদের দেশেও ‘গ্যাপ‘ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি অচিরেই এর সার্টিফিকেশন শুরু হবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিরাপদ ফল উৎপাদনসহ রপ্তানি বাজারে প্রবেশের জন্য উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশ ‘গ্যাপ’ বাস্তবায়নের ফলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিরাপদ, উন্নত ও মানসম্পন্ন হবে, আয় বৃদ্ধি ও অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারসহ টেকসই পরিবেশ ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ সরকার উত্তম কৃষি চর্চা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা এর স্ট্যান্ডার্ড হলো বাংলাদেশ গ্যাপ। খামারপর্যায় হতে শুরু করে ভোক্তাপর্যায়ে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে খামারে উৎপাদন এবং সংগ্রহোত্তর প্রক্রিয়ায় উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তম কৃষি চর্চা (এঅচ) নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনসহ টেকসই অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকার ‘বাংলাদেশ উওম কৃষি চর্চা নীতিমালা-২০২০‘ প্রণয়ন করে।
বাংলাদেশে এঅচ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) পরিকল্প স্বত্বাধিকারী (স্কিমওনার) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সার্টিফিকেশন বডি (Bangladesh Agricultural Certification Body-BACB) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। এঅচ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অংশীজন সমন্বয়ে (স্টিয়ারিং, টেকনিক্যাল ও সার্টিফিকেশন) কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।GAP বাস্তবায়নের উপযোগী মানদ- ((Standards) প্রতিষ্ঠা করতে ২৪৬টি অনুশীলন চর্চা সম্বলিত নিরাপদ খাদ্য মডিউল; পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা মডিউল; কর্মীর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ মডিউল; পণ্যমান মডিউল এবং সাধারণ প্রয়োজনীয়তা মডিউলসহ মোট ৫টি মডিউল প্রস্তুত করা হয়েছে, যা মাঠর্পযায়ে এঅচ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। GAP মানদ-ের গুরুত্ব বিবেচনায় অনুশীলনসমূহকে (Control Point) “অতি গুরুত্বপূর্ণ” ((Major Must)-১০০% অনুসরণ বাধ্যতামূলক, “গুরুত্বপূর্ণ” (Minor Must)-৯০% অনুসরণ বাধ্যতামূলক এবং “সাধারণ” (General)-৫০% অনুসরণ বাধ্যতামূলক এ তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।
কোন ফসল বিদেশে রপ্তানি করতে হলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন একান্ত প্রয়োজন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য ফসল উৎপাদন হতে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সরবরাহ ও বিপণন প্রতিটি পর্যায়েই এঅচ মানদ- অনুসরণ জরুরি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (ইঅই) স্বীকৃতি প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে এঅচ কার্যক্রম/বাস্তবায়নের স্বীকৃতি প্রদান করবে। বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়নের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পার্টনার প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে (২০২৩-২০২৮) তিন লক্ষ হেক্টর জমি উত্তম কৃষি চর্চা সার্টিফিকেশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কৃষিকে টেকসই করা এবং স্থানীয় কৃষিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে উত্তম কৃষি চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উত্তম কৃষি চর্চা নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। কৃষিকার্যে ব্যবহৃত উপকরণ যেমন- বালাইনাশক, জৈব ও রাসায়নিক সার, পানি ইত্যাদির পরিমিত ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব ফসল ব্যবস্থাপনাকে উত্তম কৃষি চর্চা উৎসাহিত করে। ফসল উৎপাদনের উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করল্লে-ভৌত, রাসায়নিক বা অণুজীবী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ফসল চাষ করা যাবে না। গুণগত মানসম্পন্ন বীজ বা চারা লাগাতে হবে। সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনমাফিক সার দিতে হবে। সেচের ক্ষেত্রে নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে। বালাই দমনে আইপিএম বা সমন্বিত বালাইব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ বালাইনাশক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও রাসায়নিক বালাইনাশকের ক্ষেত্রে অবশ্যই সংগ্রহপূর্ব অপেক্ষমাণ সময় মেনে চলতে হবে। বালাইনাশক ও বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিকের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার থেকে কৃষি কাজে নিয়োজিত কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সকল ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার উপযুক্ত ব্যক্তি লিখিত পরামর্শ মোতাবেক হতে হবে। ফসল সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর কাজে নিয়োজিত কৃষি শ্রমিকদের হাইজিন বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কৃষিকাজের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে আনতে হবে। উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণে খামারে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি নিরূপণ, ঝুঁকি প্রশমন পরিকল্পনা ও সংশোধনের লিখিত তথ্যাবলী সংরক্ষণ করতে হবে। খামারে উৎপাদক রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে। সকল ধরনের তথ্যাবলী কমপক্ষে দুই বছর সংরক্ষণ করতে হবে। খামারের শ্রমিক বা কর্মীদের সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। সকল অনুসরণীয় বিষয়সমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন হলে সার্টিফিকেশন বডি কর্তৃক বহিঃস্থ অডিট সম্পন্ন করতে হবে। অডিট সন্তোষজনক হলে এক বছরের জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। প্রতি বছর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে খাদ্যসামগ্রী এক দেশ থেকে অন্য দেশে আমদানি এবং রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্বাব্যাপী খাদ্যসামগ্রী আনা নেয়ার ফলে খাদ্য শৃঙ্খলে সংক্রমন এবং জীবাণুসমূহের বিস্তৃতি ঘটার সম্ভাবনা থাকে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। ফল এবং সবজি প্রায়শই টাটকা ও কাঁচা অবস্থায় খাওয়া হয়, তাই এতে বাহ্যিকভাবে ক্ষতিকর বা স্বাস্থ্য হানিকর কোন কিছু যেন না থাকে তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোন অঞ্চলের খাদ্যমান সম্পর্কিত নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ হচ্ছে প্রয়োগকৃত রাসায়নিকের অবশিষ্টাংশ, দূষণকারী বস্তু, পোকা ও রোগ, রোগ সৃষ্টিকারী এবং বিনষ্টকারী অণুজীব, বাহ্যিক সংক্রামকসমূহ প্রভৃতি।
নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিপত্তি/ঝুঁকি খাদ্য শৃঙ্খলের যে কোন পর্যায় ঘটতে পারে, তাই খাদ্য শৃঙ্খলের প্রত্যেক স্তরে নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা প্রতিরোধ বা দূরীভূত করা প্রয়োজন। নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়নে খাদ্য শৃঙ্খলের প্রাথমিক পর্যায় অর্থাৎ কৃষকপর্যায় থেকে প্রতিটি স্তরে প্রত্যেক কর্মীকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন নির্দিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বশীল এবং সকল কার্যক্রমের বিবরণ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। উৎপাদনকারীকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে উৎপাদিত পণ্য খাদ্য হিসেবে নিরাপদ। তবে উৎপাদকের পাশাপাশি সরবরাহ, পরিবহন, গুদামজাত ইত্যাদি সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে খাদ্যকে নিরাপদ এবং মানসম্পন্ন রাখা। উত্তম কৃষি চর্চা নিশ্চিত করলে বাংলাদেশ থেকে ফলসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি সম্ভাবনা বাড়বে।
উত্তম কৃষি চর্চা নিরপদ, টেকসই ও দায়িত্বশীল কৃষির নিশ্চয়তা দেয়। গ্যাপ অনুসরণে ফসলের উৎপাদন করলে উৎপাদন খরচ কমে এবং কৃষি কার্যক্রম টেকসই হয়। পাশাপাশি পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে ফল চাষ ও উত্তম কৃষি চর্চা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো হলো-প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনিউরশিপ এন্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট (পার্টনার প্রকল্প), রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প প্রভৃতি। এ ছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পেও ফলচাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ আগামীতে বৈশ্বিক ফল রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আসীন হতে পারে।
লেখক : অধ্যাপক, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রেজিস্টার্ড ট্রেইনার, গ্লোবালগ্যাপ।Email: nomanfarook@yahoo.com; মোবাইল : ০১৮১৯৮২৩০৩০