স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন : স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে পুষ্টি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার১ ড. সুস্মিতা দাস২
বিশ্বের অনেক দেশের মতো, বাংলাদেশও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (৪ওজ) পথে অগ্রসর হচ্ছে। এই বিপ্লব প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের একটি সময়, যা সামগ্রিক উৎপাদন ব্যবস্থাকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করছে। কৃষিক্ষেত্রেও এই বিপ্লবের প্রভাব অনুভব করা যাচ্ছে, যার মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ এর মূল উদ্দেশ্য হলো একটি টেকসই, আধুনিক ও স্মার্ট জাতি গঠন যার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের আওতায় বাংলাদেশ ৪ওজ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে স্মার্ট কৃষির যে ধারণা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে তাকে বলা হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের কৃষি।
বাংলাদেশ একটি কৃষিভিত্তিক দেশ, যেখানে কৃষি খাত দেশের অর্থনীতির মেরুদ- হিসেবে কাজ করে। ফল উৎপাদন এই খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধুমাত্র দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে না, বরং রপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ঋৎঁরঃং ধৎব ভড়ড়ফ পড়ড়শবফ নু ঃযব ংঁহ. অর্থাৎ ফল হলো এমন একটি খাদ্য যা সূর্যের আলোয় রান্না করা হয়েছে। এর মধ্যে সব ধরনের খাদ্যগুণ বজায় আছে। আমাদের দেশে ফলের সংখ্যা ৭০ এর অধিক এবং এ সমস্ত ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। তাই এই পুষ্টি সমস্যা সমাধানে ফলই হতে পারে একমাত্র হাতিয়ার।
বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে ফল গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ফল বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। দেশে আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, লিচু, কমলা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ফলের ব্যাপক উৎপাদন হয়। এই ফলগুলো শুধু দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে না, বরং বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতেও বিশেষ অবদান রাখে। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই এবারের ফল মেলার প্রতিপাদ্য- ‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ-স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’ যথার্থই হয়েছে।
কেননা স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের আওতায় ফল উৎপাদন এবং এর মাধ্যমে পুষ্টি ও আয়ের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। এই প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে একদিকে যেমন ফল উৎপাদন বাড়বে এর মাধ্যমে দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কৃষিতে প্রযুক্তির অভাব এবং অপ্রতুল হলেও, এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে। বিশেষভাবে কৃষি সেক্টরে ব¬কচেইন, সেন্সর, ডেটা অ্যানালাইটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস (ওড়ঞ) ও মেশিন লার্নিং এবং এক্সটেন্সিভ মেশিনিং উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষির উন্নয়নে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্প ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশ, উন্নত জাতের ফসল উৎপাদন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন, উন্নত বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের জীবননির্বাহ কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সরকারের নানামুখী উন্নয়ন কর্মকা- যেমন উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ, সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন, সার ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি প্রদান, সহজশর্তে কৃষিঋণ বিতরণ ইত্যাদির জন্য দেশের শস্য নিবিড়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জাতীয় কৌশল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক মার্চ ২০২০ এ প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে অও এবং কৃষি ক্ষেত্রে এর ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলোর নির্দেশিকা সন্নিবেশিত রয়েছে। এই কৌশলগুলো কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন, কৃষিভিত্তিক শিল্প ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অও এর ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব প্রযুক্তিগত সুফল সম্প্রতি কৃষিতে জাগরণ সৃষ্টি করেছে। ধীরে ধীরে আরও বিস্তৃত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ১৭টি সংস্থা ৪টি বিষয়ভিত্তিক এলাকায় স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এই কর্মপরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য হলো ৪ওজ এর সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের কৃষি খাতকে উন্নত করা এবং দেশের কৃষিকে বিশ্বমানের এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক করা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল একটি প্রকল্প ‘টেকসই উৎপাদনের জন্য ওড়ঞ ভিত্তিক প্রিসিশন কৃষির বাস্তবতা যাচাই’ সমন্বয় করছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) তিনটি প্রকল্প শুরু করেছে যেমন ৪ওজ প্রযুক্তির মাধ্যমে গবেষণা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, অও এবং ওড়ঞ এর মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত সহায়তা সরঞ্জাম হিসাবে একটি ই-ভ্যারাইটি প্রোফাইলার প্রচার করা এবং সেন্সর স্থাপন, ড্রোন প্রযুক্তি ও এয়ারোবটের মাধ্যমে যে কোনও গবেষণা ক্ষেত্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করা। তাছাড়া বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) ধানের রোগবালাই চিহ্নিত করতে ‘রাইস সল্যুশন’ (সেন্সরভিত্তিক ধানের বালাই ব্যবস্থাপনা) নামক একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি আক্রান্ত ধান গাছের ছবি দেখে রোগ চিহ্নিত করতে সক্ষম যা স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থার নিদর্শন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘জুট এবং জুট ছাই থেকে ৩উ প্রিন্টার ফিলামেন্ট এবং সক্রিয় কার্বন উদ্ভাবন প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছে।
কৃষির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মুঠোফোনে ‘খামারি’ অ্যাপ উন্মোচন করেছে-যা কৃষক,কৃষিবিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকদের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খামারি অ্যাপে আধুনিক ক্রপ জোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্রপ জোনিংয়ে মূলত এলাকাভিত্তিক মাটির বৈশিষ্ট্য, আবহাওয়া-জলবায়ু ও ফসলের অর্থনৈতিক দিক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য দিয়ে কোন জমি কোন মৌসুমে কোন ফসলের জন্য উপযোগী এবং এলাকাভিত্তিক কোন ফসল অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক তা চিহ্নিত করা যায়। এ ছাড়াও খামারি অ্যাপে আধুনিক জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস), রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি এবং উঁচু-নিচু জমির ক্ষেত্রে শাটল রাডার টপোগ্রাফি মেশনের (এসআরটিএম) তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা।
স্মার্ট কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আরও প্রসারিত করতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ও কানাডার সেস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গে¬াবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটি (জি আইএফএস) এর মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন সহযোগিতাসহ বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং বঙ্গবন্ধু-পিয়ারে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধাযুক্ত চারটি কৃষি প্রযুক্তিকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। একইভাবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে গবেষণাকেন্দ্র কমপ্লেক্স, গবেষণাগার, গ্রোথ চেম্বার, টিস্যু কালচার ল্যাব, এনালাইটিক্যাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ফসলের লক্ষ্যভিত্তিক জাত সুনির্দিষ্টভাবে ও কম সময়ে উদ্ভাবনের জন্য অত্যাধুনিক জিনোম এডিটিং প্রযুক্তির সহায়তায় ফসলের কাক্সিক্ষত বৈশিষ্ট্যের জাত উদ্ভাবনসহ, পানি ও মৃত্তিকা সম্পদ, পোস্ট হার্ভেস্ট ফুড হ্যান্ডেলিং ও প্রসেসিং, তথ্য প্রযুক্তি ও বিগ ডাটা নিয়ে দেশের প্রচলিত কৃষি গবেষণায় আমূল পরিবর্তন আনবে।
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে প্রযুক্তির ছোঁয়া বদলে দিয়েছে কৃষকের জীবন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবা ‘কৃষি বাতায়ন’ এবং ‘কৃষক বন্ধু কল সেন্টার’ চালু করেছে। বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক সেবাগুলোর জন্য কল সেন্টার হিসেবে কাজ করছে ‘কৃষক বন্ধু’ (৩৩৩১ কল সেন্টার)। ‘কৃষি বাতায়ন’ প্রযুক্তি সেবার মাধ্যমে কৃষকরা এখন তাদের চাষের ফসল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারছেন, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিতে পারছেন পরামর্শ। সরকারের বিভিন্ন কৃষি-সম্পর্কিত সেবাও পেয়ে থাকেন এই অ্যাপস ব্যবহার করে। তাছাড়াও রয়েছে ই-বালাইনাশক প্রেসক্রিপশন, কৃষি বায়োস্কোপ। ফলে কৃষকরা সহজেই ঘরে বসে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। ‘কৃষকের জানালা’ নামে একটি উদ্ভাবনী অ্যাপসের সহযোগিতায় ফসলের ছবি দেখেই কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাগণ তাৎক্ষণিকভাবে শস্যের রোগবালাই শনাক্ত করতে পারেন। এছাড়াও কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষি বিষয়ক তথ্য সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কল সেন্টার (১৬১২৩) চালু করেছে। এসবের প্রভাবে কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। অনেক তরুণ শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা আধুনিক কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। ফলে ডিজিটাল কৃষির বাস্তবায়নে ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্য পূরণে অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ও ক্লাউড বেজড অটোমেটেড এগ্রিকালচারাল সিস্টেম।
কৃষি জমি এবং ফসলের পুষ্টি বিশ্লেষণ করতে ড্রোনের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং ফসলের পুষ্টির মূল্যায়ন, তথ্য সংগ্রহ, ম্যাপিং, কীটনাশক স্প্রে ইত্যাদি কাজ ড্রোনের মাধ্যমে করা যায়। দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, নেদারল্যান্ডসের টুয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র যৌথভাবে ‘স্টারস’ প্রকল্পের আওতায় দেশের কৃষি গবেষণায় আধুনিক, উন্নত ও কার্যকর প্রযুক্তি হিসেবে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিপণ্য ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, বিপণন ও রপ্তানি ব্যবস্থাপনাই পারে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে। ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হলে কৃষিপণ্য সরকারের নগদ প্রণোদনা ও বিভিন্ন দেশের দেওয়া রপ্তানি সুবিধাগুলো হারাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বাস্তবতায় আধুনিক পরীক্ষাগারে খাদ্যমান নিশ্চিত করা, বিশেষায়িত হিমাগার অবকাঠামোর ঘাটতি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদনে অপর্যাপ্ত গবেষণা ও বাজারজাতকরণে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব দূর করার মাধ্যমে এই বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। কৃষিখাতের রপ্তানি বহুমুখী করে বৈদেশিক মুদ্রাআহরণের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব হবে। আগামীতে, স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে পুষ্টি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুযোগ ও সম্ভাবনা সর্বোপরি কৃষিক্ষেত্রে একটি টেকসই উন্নতি সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।
লেখক : ১চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ২প্রধান ডকুমন্টেশন কর্মকর্তা, বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, মোবাইল : ০১৭১১১০২১৯৮, ই-মেইল susmitabare@gmail.com