নিরাপদ মাছ উৎপাদনে
মৎস্য অধিদপ্তর
মোঃ জিল্লুর রহমান
বাংলাদেশের মৎস্য খাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ খাত শুধু দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমেও বিশেষ অবদান রাখছে। তবে নিরাপদ মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করাও একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই ক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাছের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং রপ্তানি কার্যক্রমে মৎস্য অধিদপ্তর নির্দিষ্ট মানদ- নিশ্চিত করে চলেছে, যা আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতি রেখে খাদ্য নিরাপত্তার চারটি মূল স্তম্ভ-ক্রয়ক্ষমতা, প্রাপ্যতা, মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ‘সকলের জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণ’ মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যতম অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের মৎস্য খাত বর্তমানে একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ খাত হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ৪৯.১৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় উল্লেযোগ্য পরিমাণে বেশি। গত এক দশকে এটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সুবিস্তৃত মুক্ত জলাশয়, অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয় এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের মোট জিডিপির ২.৫৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২২.২৬ শতাংশ মৎস্য উপখাতের অবদান। মৎস্য খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.৮১ শতাংশ (বিবিএস ২০২৪)। মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের পরিমাণ চাহিদার চেয়ে (৬০ গ্রাাম/দিন/জন) বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭.৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে (ঐওঊঝ, ২০২২)। মৎস্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য আজ আন্তর্জাতিক পরিম-লেও সর্বজনবিদিত।
সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ঋঅঙ) ঞযব ঝঃধঃব ড়ভ ডড়ৎষফ ঋরংযবৎরবং ধহফ অয়ঁধপঁষঃঁৎব ২০২৪ এর প্্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে ২য় অবস্থানে উঠে এসেছে এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৫ম স্থান ধরে রেখেছে যা মৎস্যখাতে বর্তমান বাংলাদেশের একটি অভাবনীয় সাফল্য। এছাড়াও ক্রাস্টাশিয়ান্স আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে ৮ম এবং কোস্টাল ও সামুদ্রিক মাছ আহরণে ১৪তম স্থান অর্জন করেছে। বিশ্বে ইলিশ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান ১ম, তেলাপিয়া উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ এবং এশিয়ায় ৩য়। দেশের প্রায় ১৪ লক্ষ নারীসহ ২ কোটি অর্থাৎ প্রায় ১২ শতাংশের অধিক জনগোষ্ঠী এ সেক্টরের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। বাংলাদেশের মৎস্য খাত শুধু দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে নয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দাবস্থা থাকা সত্ত্বেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭৭,৪০৭.৯৪ মে.টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ৪,৪৯৬.৩৮ কোটি টাকা অর্জিত হয়েছে। চিংড়ি ও সাদা মাছের মতো পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখন আমাদের রপ্তানি বৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও নতুন বাজার অনুসন্ধান প্রয়োজন।
মৎস্য খাতে উৎপাদন এবং ফরওয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে সরবরাহ, মূল্যসংযোজন, মাননিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বণ্টন প্রক্রিয়া অন্যান্য খাতের চেয়ে ভিন্ন ও জটিল এবং অনেক কুশীলব সম্পৃক্ত। এ প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে না পারলে উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যন্ত একটি সুস্থিত সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব এবং নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহের বিষয়টিও ঝুঁকিতে পরবে।
উৎপাদন ব্যাবস্থার সাথে সাথে খাদ্য নিরাপত্তার ৪টি মৌলিক স্তম্ভ-ক্রয়ক্ষমতা, প্রাপ্যতা, মান ও নিরাপদতা (ঝধভবঃু) গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিতে হবে। উৎপাদনে যথেষ্ট সফলতা থাকলেও এষড়নধষ ঋড়ড়ফ ঝবপঁৎরঃু ওহফবী, জবঢ়ড়ৎঃ ২০২২ অনুযায়ী ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ তম। কাজেই ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে সকল পক্ষকেইে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।
মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নিরাপদ ও মানসম্মত মৎস্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা মৎস্য অধিদপ্তরের মূল দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য, মৎস্য অধিদপ্তর তিনটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাক্রিডেটেড মৎস্য মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি পরিচালনা করছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশে চিংড়ি উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, যেখানে নিরাপদ উৎপাদন পদ্ধতির জন্য উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলন (এঅচ) এবং ঐধুধৎফ অহধষুংরং ্ ঈৎরঃরপধষ ঈড়হঃৎড়ষ চড়রহঃ (ঐঅঈঈচ) ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো চিংড়ির উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ এবং রপ্তানি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য ২০১০ সালে মৎস্যখাদ্য ও পশুখাদ্য আইন এবং মৎস্যখাদ্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ২০২০ সালে আরও সম্প্রসারিত করে মৎস্যখাদ্য ও পশুখাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন প্রক্রিয়া আরো সহজতর হয়েছে এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিরাপদ এবং মানসম্মত চিংড়ি উৎপাদনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (ঝঙচ) ম্যানুয়াল প্রণয়ন করা হয়েছে।
মৎস্যচাষ পর্যায়ে ঔষধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘অ্যাকুয়াকালচার মেডিসিনাল প্রোডাক্টস নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এটি বর্তমানে মাঠপর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই নির্দেশিকার মাধ্যমে মৎস্যচাষে ক্ষতিকারক ও নিষিদ্ধ ঔষধ ও রাসায়নিক ব্যবহারের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এটি মাছের স্বাস্থ্য এবং গুণগত মান রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের জন্য একটি আবশ্যক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মৎস্য হ্যাচারি থেকে শুরু করে মাছ চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ প্রতিটি ধাপে কার্যকর পরিদর্শনের জন্য ফিশ এন্ড ফিশারি প্রডোক্টস অফিসিয়াল কন্ট্রোল প্রটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে। এর ফলে, মৎস্যচাষ থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ কারখানা এবং মাছের আহরণ-পরবর্তী সরবরাহ চেইনের স্থাপনা যেমন-আড়ত, ডিপো, বরফ কল ইত্যাদি নিয়মিত পরিদর্শন করা হয় এবং সঠিক লাইসেন্স প্রদান বা নবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রপ্তানিযোগ্য কনসাইনমেন্টের নমুনা পরীক্ষণ করে স্বাস্থ্যসনদ জারি করা হয়, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মৎস্য ও চিংড়ি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২০০৮ সাল থেকে ন্যাশনাল রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান (ঘজঈচ) প্রণয়ন করা হয়। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে মাছ ও চিংড়িতে নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হয় এবং যথাযথভাবে পরীক্ষণ করা হয়। এভাবে উৎপাদন থেকে ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত নিরাপদ মৎস্য সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, ২০২৩ সালের ০৪-১৫ ডিসেম্বর ঊট উএ ঝধহঃব অঁফরঃ মিশন বাংলাদেশের মৎস্যপণ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণের ওপর একটি বিস্তারিত অডিট পরিচালনা করেছে। এই অডিট মিশনটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে। এই অডিট মিশন বাংলাদেশে মৎস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হয়েছে বলে প্রশংসা করেছে, যা দেশের মৎস্যপণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এ ছাড়াও মাছের খামার, প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট, মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও মাছ শিকারের সামুদ্রিক নৌযানের ওপর নিয়মিত তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে পানির গুণগত মাননিয়ন্ত্রণ, সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে উল্লেযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। মাছ চাষিদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন পদ্ধতি নিশ্চিত করতে ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম প্রয়োগ করা হয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে মৎস্যপণ্যের উৎপত্তি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়, যা ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এ ধরনের পদক্ষেপ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মৎস্যপণ্যের গ্রহণযোগ্যতা এবং সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
যদিও এসব উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তবুও কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান। মৎস্য উৎপাদনে অ্যান্টিবায়োটিক এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়েছে। কঠোর তদারকি ও পর্যবেক্ষণের অভাবে এটি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। মৎস্য উৎপাদনে অতিরিক্ত ভারী ধাতু ও দূষকের উপস্থিতি এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো মৎস্যচাষি এবং ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব। টেকসই মাছ ধরার অভ্যাস, সঠিক পরিবহন এবং সংরক্ষণের জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন। মৎস্যচাষিদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের শিক্ষিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিরাপদ এবং টেকসই মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাজারে নিরাপদ মাছের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।
মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে নিরাপদ, সুষ্ঠু এবং মানসম্পন্ন একটি খাত হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। নিরাপদ মাছ উৎপাদন, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও তদারকি এবং মৎস্যচাষিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে মৎস্য খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশজুড়ে পুষ্টি নিরাপত্তা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্যখাতের অবদান অপরিসীম।
লেখক : মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব), মৎস্য অধিদপ্তর। ফোন : ৫৫০১২৫৪৬১, ই-মেইল : dg@fisherics.gov.bd