Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

নগর-কৃষকের-আঙুর-চাষ

নগর কৃষকের আঙুর চাষ
কে জে এম আব্দুল আউয়াল
আঙুর ফল নিয়ে পৃথিবীতে অন্তহীন গবেষণা হয়েছে। এই ফলের শতশত কালটিভার আছে, পৃথিবীজুড়ে হাজার হাজার জাত আছে। অক্ষাংশের যে অবস্থানে আমাদের দেশ সেখানে আঙুর চাষ প্রায় অসম্ভব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ধশত বছর অতিক্রম হলেও অধ্যাবধি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, এমনকি বেসরকারি কোম্পানি থেকে আঙুরের জাত অবমুক্ত হয়নি। তবে কৃষিপ্রেমী মানুষেরা এই ফল নিয়ে নিজেদের মতো করে কাজ করছে, তারা পৃথিবীর নাম করা সব জাত নিয়ে নিজ বাড়ির ছাদে বা নিজবাড়ির আঙিনায় যার যার মতো গবেষণা করে যাচ্ছে। আঙুর চাষে কেউ সফল হচ্ছে, কেউ হচ্ছে না, কারণ এই ফল সহজ সরলভাবে আমাদের জলবায়ুতে পর্যাপ্ত ফল দেয় না। কারণ-
আঙুর ফল বিষয়ে সীমিত জ্ঞান; জলবায়ু উপযোগী জাত হাতে না পাওয়া; আঙুর গাছের পুষ্টি চাহিদার ধরন; ট্রেনিং প্রুনিং করতে না পারা; সেচ ব্যবস্থাপনা; রোগবালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সঠিকভাবে করতে না পারা।
ফলের দোকানে সবার আগে আমাদের চোখে পড়ে আঙুরের থোকা, ক্রয় করতে গিয়ে আমরা জিজ্ঞাসা করি আঙুর মিষ্টি না টক। এই আঙুর ফলের জাত বিষয়ে আমাদের জ্ঞান সামান্যতম।
আমরা জানি না কোন জাতের আঙুর থেকে ওয়াইন হয়, জুস হয়, জেলি হয়, কিসমিস হয় এবং মুখে খাওয়ার জন্য উপযোগী জাত কোনটি। কোন জলবায়ুতে কোন জাতের আঙুর ভাল হয়।
আমাদের দেশের সৌখিন ছাদ বাগানীদের হাতে বেশ কিছু ভালো জাতের আঙুর আছে, যেগুলো অট্টালিকার ছাদে চাষে সফলতা এসেছে। জাতগুলো নিম্নরূপ-
১. বাইকুনুর ২. সুলতানা ৩. মাসকাট ব¬ু ৪. একেলো ৫. এঞ্জেলিকা ৬. জয় সিডলেস ৭. ডিক্সন ৮. সিলভা ৯. ভাইকিং-২  ১০. ব¬াক ম্যাজিক ১১. লোরাস ১২. গ্রিন লং ১৩. ব¬াক রুবি ১৪. ভেলেজ ১৫. আবু মাসুদ ১৬. লিয়া ১৭. ডাশুনিয়া ১৮. ভিট্রেব¬াক ১৯. নাডু সিড লেস ২০. ইসাবেলা ২১. কার্ডিনাল ২২. ক্রিমসন ২৩. মুনড্রপ ২৪ হ্যালোয়েন ২৫. অটাম রয়্যাল ইত্যাদি।
জলবায়ু 
আঙুর গাছের বৃদ্ধি ও ফল, ফুলের জন্য দরকার উষ্ণ ও শুষ্ক জলবায়ু। আদর্শ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সে. থেকে ৩২ ডিগ্রি সে. উপযুক্ত এই তাপমাত্রার কম তাপমাত্রায় অঙ্গজ বৃদ্ধি সীমিত হয় এবং ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার অধিক হলে শ্বসন বৃদ্ধি পায়, ফলে সালোকসংশ্লেষণ কম কার্যকরী হয়। এতে আঙুরের থোকা ছোট হয়, আবার আঙুরের আকার আকৃতিও ছোট হয়। 
শূন্য অক্ষাংশ থেকে উত্তর দক্ষিণ উভয় দিকে ৩০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অক্ষাংশ আঙুর চাষের জন্য আদর্শ। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল আঙুর চাষের জন্য উপযুক্ত জলবায়ু। সেখানে বর্ষাকাল নেই, শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়, তাও খুব বেশি নয়। এই ধরনের জলবায়ুতে শুষ্ক গ্রীষ্ম বিদ্যমান। তবে মেডিটেরিয়ান জলবায়ুতে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা অধিক উচ্চতায় উঠে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অধিক তাপমাত্রায় আঙুর ছোট হয়, এই জন্য মেডিটেরিয়ান অঞ্চলে কিসমিস তৈরি হয় এমন আঙুর বেশি হয়।
বাংলাদেশের জলবায়ু ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ুর মতো। ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল মাসে আর্দ্রতা কম থাকে, শীতকালে মাঝে মধ্যে বৃষ্টিও হয়। তাছাড়া বর্ষাকালে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। কম বৃষ্টিপাত আঙুরের জন্য উপযুক্ত। ৯০০ মিমি. সমবণ্টনের বৃষ্টিপাত আঙুর চাষের জন্য আদর্শ।
ছাদের টবে আঙুর 
আমাদের দেশে শহরের ছাদে আঙুর চাষ করলে বর্ষাকালে আঙুর গাছকে ভালোভাবে টিকিয়ে রাখা যায় কারণ ছাদের টবের মাটি দীর্ঘ সময় স্যাঁতসে্যঁতে থাকে না, আঙুর গাছের শিকড় সবসময় অক্সিজেন পায়। শীতের শেষে গাছকে প্রুনিং করে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে গাছে মুকুল আসলে বর্ষার পূর্বেই অনেক জাতের আঙুর পরিপক্ব হয়। অতএব, আঙুরের যে জাতগুলো কম সময়ে পরিপক্ব হয়, সেই জাতকে ছাদে সহজেই চাষ করা সম্ভব। আগাম বা কম সময়ে পরিপক্ব হয় এমন জাতের মধ্যে বাইকুনুর, ব্ল্যাক ম্যাজিক, ডিক্সন, গ্রিন লং, লোরাস, নাডু সিডলেস। ইত্যাদি জাত কম সময়ে পরিপক্ব হয়। 
আমাদের দেশে যেহেতু বর্ষাকাল আছে, তাই ছাদে আঙুর চাষ যত সহজে সম্ভব মাটিতে তা সম্ভব নয়। ছাদের পরিবেশ ভিন্ন সেখানে আর্দ্রতা কম, সূর্যালোক বেশি এবং ছাদের মেঝে প্রায় বেশির ভাগ সময়ই শুষ্ক থাকে। ইচ্ছে করলে ছাদের টবের মধ্যে যেনো বৃষ্টির পানি না যায়, সে ব্যবস্থাও করা সম্ভব। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ছাদের উচ্চতা মাটি থেকে অনেক বেশি হওয়ায় আঙুরের জন্য বাড়তি সুবিধা হয়। এ ছাড়াও একটি আঙুরের গাছের ক্যানোপি অন্যান্য ফল গাছের তুলনায় কম বলে বড় সাইজের টবে, ড্রামে বা জিও ব্যাগে আঙুর গাছের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত মাটি পানি ও পুষ্টির নিশ্চিত ব্যবস্থা করা সম্ভব।
টবের মাটির ধারণা 
আঙুর গাছের পছন্দ বেলে দোঁ-আশ, বেলে লাল দোঁ-আশ, কাদা বেলে দোঁ-আশ, লাল দোঁ-আশ ইত্যাদি মাটি, যে মাটির পানি ধারণ গুণও ভাল। মাটির অ¤¬মান (Ph) ৬.৫ থেকে ৮.০ আদর্শ। এই ধরনের ভার্জিন মাটি সংগ্রহ করে তার সাথে আয়তনের ৫০% ভার্মিকম্পোস্ট, ৫-১০% হাড়ের গুঁড়া, ৫-১০% ডোমার বা সিলেট স্যান্ড মিশ্রিত করে আঙুরের টবের মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। কোনো রকম নেমাটোড যেনো এই মাটিতে না থাকে সেজন্য মাটি শোধন করতে হবে। প্রস্তুতকৃত মাটি ছাদে পাতলা করে বিছিয়ে কালো পলিথিন দিয়ে বায়ুরোধী করে সপ্তাহখানেক ঢেকে রাখতে হবে। অন্য পদ্ধতি হিসাবে মাটি থেকে নেমাটোড মুক্ত করার জন্য কার্বোফিউরান বা ফিপ্রোনিল গ্রুপের কীটনাশক পরিমাণ মতো মিশ্রিত করে (২০ ইঞ্চি টবে ২০ গ্রাম হারে) নিতে হবে। টব প্রস্তুতির জন্য উলে¬খিত দোঁয়াশ মাটি না পেলে বালি, পলিমাটি, ভার্মি ইত্যাদি মিশ্রিত করে মাটি তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।
টবের আকার 
আঙুরের চারা রোপণের প্রথম বছর শুধুমাত্র কা- তৈরির জন্য ১০ ইঞ্চি -১২ ইঞ্চি টব ব্যবহার করলেই চলবে। তবে আঙুর গাছের শিকড় এক মিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে অভ্যস্থ, তাই আঙুরের ফলনের জন্য এবং অনেক বছর গাছটিকে টবে রাখতে চাইলে ২৪ ইঞ্চি টব বা তার চাইতেও বড় মাপের টবে রাখতে হবে। আঙুর চাষের জন্য সদ্য প্রস্তুতকৃত টবে, ড্রামে বা জিও ব্যাগে চারা রোপণ না করে অপেক্ষা করতে হবে ৪ (চার) থেকে ৬ (ছয়) সপ্তাহ। তৈরি করে রাখা টবের মাটিতে প্রতি সপ্তাহে সীমিত পরিমাণ পানি সেচ দিতে হবে।
চারা নির্বাচন ও রোপণ
আঙুর চারা রোপণের সঠিক সময় শীতের শেষে, বসন্তের শুরুতে। বয়স্ক কা-ের কাটিং থেকে উৎপন্ন স্বাস্থ্যবান চারা নির্বাচন করতে হবে। সৌখিন পর্যায়ে রুট স্টকের উপর গ্রাফিটিং এর চারা নির্বাচন না করাই উত্তম। আঙুরের ফলনের উপর ও মানের উপর রুট স্টকের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আমরা যেহেতু এখনো মাঠে বাণিজ্যিক চাষাবাদ করবো না, তাই কাটিংই ভালো।
আঙুর গাছের বৃদ্ধি মৌসুম আমাদের দেশে মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত, এই সময়ের মধ্যেই আঙুর গাছের খাড়া  পাঁচ(৫) ফুট একক কা- (Trunk) তৈরি করা হয়।
ট্রেনিং প্রুনিং 
রোপণকৃত আঙুর গাছের কা- অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি পায়। প্রথম শীতের ট্রেনিংয়ের সময় সমস্ত শাখা প্রশাখা ছাঁটাই করতে হবে এবং পাঁচ ফুট বা কাছাকাছি সুবিধাজনক উচ্চতায় কা- কেটে দিতে হবে। এই পাঁচ ফুট কা-কে আমরা ট্রাংক  বলব। ফেব্রুয়ারি মাসে এই ট্রাংকের মাথার দুইটি কুঁড়ি (Bud) থেকে দুইটি শাখা সৃষ্টি হবে। এই দুইটি শাখার ৪র্থ ও ৫ম বা শুধুমাত্র ৪র্থ পত্র কক্ষ থেকে আঙুরের ফুলের থোকা বের হবে। এই শাখা দুটিকে প্রাথমিকভাবে কেইন (Cane) বলে। এই দুটি কেইন (Cane) কে পূর্ব-পশ্চিম টানা তারের সথে বাইতে দিতে হবে, আসন্ন শীত পর্যন্ত কোনো প্রুনিং করা চলবে না, তবে ট্রাংক থেকে কোনো Water sucker  বা গাছের গোড়া থেকে কোনো সাকার (Sucker) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে দেওয়া যাবে না।
দ্বিতীয় শীতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দুই বাহু উভয় দিকে সর্বোচ্চ চার (৪) ফুট করে রেখে অবশিষ্টাংশ কেটে ফেলতে হবে। ট্রাংকের উভয় পার্শ্বের দুই বাহুকে এখন বলা হবে কর্ড (Condon)। এই কর্ডের সাথে স্বল্প বৃদ্ধিপ্রাপ্ত যদি কোনো শাখা থাকে তাকে আমরা স্পার (Spur) বলবো। স্পারের (Spur) দুইটি পত্র কক্ষ রেখে ছাঁটাই করে দিতে হবে। দ্বিতীয় শীতের এই ছাঁটায়ের পর থেকে আঙুর উৎপাদন শুরু হবে। পরবর্তীতে কর্ড  থেকে কেইন  ও স্পার  উৎপাদন অব্যাহত থাকবে সাথে আঙুর উৎপাদন হতে থাকবে।
সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা 
আঙুর গাছের পানি চাহিদা কম, তাই নিয়মিত অথচ স্বল্প সেচ এই ফলের জন্য যথেষ্ট। শুষ্ক মৌসুমে প্রতিদিন সকালে সেচ দিতে হবে। সকালে ছাদের ও টবের তাপমাত্রা সেচের পানির প্রায় সমান থাকে। প্রতিদিন বিকালে টবের মাটি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে, বাড়তি সেচ প্রয়োজন হলে তা সকাল বেলা সেচের পানি বাড়িয়ে দিতে হবে। ছাদ ভিজিয়ে ও টবের মাটি স্যাঁতসেতে করে আঙুরের টবে সেচ দেওয়া অনুচিত।
সার প্রয়োগের সময় খেয়াল রাখতে হবে, আঙুরের জন্য ভার্মিকম্পোস্ট, খৈল ও হাঁড়ের গুঁড়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে আঙুর গাছে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও আয়রন ঘাটতি দেখা যায়। এই অণুখাদ্যগুলো টবের মাটিতে পানিতে গুলে দেয়া উত্তম। ছাদের গাছে অনুখাদ্য পাতায় স্প্রে করে দিতে চাইলে অবশ্যই অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে কম মাত্রায় সকালে বা বিকেলে স্প্রে করতে হবে। আঙুরের টবে ইউরিয়া প্রয়োগ প্রয়োজন পড়বে না, টিএসপি ও পটাশ সারের প্রয়োজন থাকলে শীতের শেষে আঙুর গাছ প্রুনিংয়ের পরপর প্রয়োগ করতে হবে। পটাশ সারের ক্ষেত্রে সালফেট অব পটাশ নির্বাচন করা উত্তম।
রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা 
আঙুর গাছের পাতায়, পুষ্পমঞ্জরিতে, ফলের থোকায় যে সমস্ত রোগ আমরা সাধারণত দেখতে পাই, তা পাউডারি মিলডিউ, মিলডিউ ডাউনিমিলডিট এবং গ্রেমোল্ড। এই তিনটি রোগ ছাড়াও অল্টারনেরিয়া লিফ স্পট রোগ দেখা যায়। এই সমস্ত রোগ আঙুরের পাতায় হলে পাতা বয়স্ক হওয়ার আগেই মরে যায়, এতে গাছের আঙুরের আকার ছোট হয়, মিষ্টতা কম হয় এবং পরবর্তী বছর আঙুরের যে পুষ্প মঞ্জরি সৃষ্টি হবে তা ছোট হয়। এই রোগসমূহ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য ম্যানকোজেব এবং কার্বেনডাজিমের মিশ্রণ মাত্রা মতো নিয়মিত স্প্রে করতে হবে। বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে থ্রিপস ও মাকড়ের প্রকোপ বাড়ে, আঙুর গাছের পাতা, পুষ্পমঞ্জরি এবং আঙুরের থোকায় থ্রিপস আক্রমণ দেখা যায়, ক্ষুদ্র সাদা মাকড়ে আক্রমণও হয়। এই পোকা ও মাকড়কে এবামেকটিন ১.৮ ইসি বা হেক্সিথায়াজক্স নামক মাকড়নাশক দ্বারা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আঙুর গাছের শিকড় নেমাটোড আক্রান্ত হয়। সাধারণত গবষড়রফড়মুহব ংঢ় এর নেমাটোড শিকড় আক্রমণ করে গিট (কহড়ঃ) সৃষ্টি করে, আক্রান্ত আঙুর গাছ মাটি থেকে পানি ও পুষ্টি আহরণ করতে পারে না; এছাড়া ফধমমধৎ নেমাটোড আঙুরের শিকড়ে আক্রমণ করে। গাছকে খাদ্য ঘাটতিযুক্ত দেখায়। গাছের বাড়বাড়তি বন্ধ হয়ে যায়, ফুল ফল কাংক্ষিত হয় না। নেমাটোড নিয়ন্ত্রণের জন্য টবের আকার অনুযায়ী ৫-১০ গ্রাম কার্বোফিউরান ৫ জি বা ফিপ্রোনিল ০.৫ জি টবের মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে, একবার ফল ধরার পূর্বে আর একবার ফল আহরণের পর। ছাদ বাগানে যে কোনো কীটনাশক স্প্রে করার উপযুক্ত সময় সূর্যাস্তের পূর্বে এবং সূর্যোদয়ের পরপর। 

লেখক : পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), হর্টিকালচার উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১১১৯২৮০৬,   ই-মেইল :  dhw@dae.gov.bd, kjmawal@gmail.com