Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বারি-আলুবোখারা-১-এর-আধুনিক- উৎপাদন-প্রযুক্তি

বারি আলুবোখারা-১ এর আধুনিক 
উৎপাদন প্রযুক্তি
ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার১  
ড. মো. আলাউদ্দিন খান২  রূম্পা সরকার৩ 
আলুবোখারা মসলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি পত্রঝরা কাষ্ঠল জাতীয় ঝোপালো উদ্ভিদ। ফুলের রং সাদা। ডিম্বাকৃতি ফলের ভেতরে একটি কঠিন আবরণযুক্ত আঁটি থাকে এবং এর চারিদিকে ভক্ষণযোগ্য মাংসল বহিরাবরণ থাকে। অপরিপক্ব অবস্থায় ফলের রং সবুজ এবং পরিপক্ব অবস্থায় ফলের রং জাতভেদে লাল, খয়েরী, হলুদ, বেগুনি, কালো ইত্যাদি ধারণ করে কিন্তু পরিপক্ব ফলের ভেতরের শাঁস  লালচে হয়। জাতভেদে ফলের আকার ছোট বড় হয়ে থাকে। শুকনো আলুবোখারাকে প্রুন  বলা হয়। জাতভেদে ফলের স্বাদ টক বা মিষ্টি হয়। আলুবোখারায় স্ব-পরাগায়ন এবং  পর-পরাগায়ন উভয়টিই সংঘটিত হয়। এ ফসলের উৎপত্তি স্থান ট্রান্সককেশাস অঞ্চল (আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, আজারবাইজান), চীন, তুরস্ক। বর্তমানে চীন, রোমানিয়া, সার্বিয়া, চিলি, তুরস্ক, ইরান, আমেরিকা, ভারত, রাশিয়া, ইতালি, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, স্পেন, পোল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে আলুবোখারা উৎপন্ন হয়। উৎপাদন বিবেচনায় চীন প্রথম স্থান দখল করে আছে। জাত ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে ফুল ফোটে যেমন-তাইওয়ানে জানুয়ারিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসে ফুল ফোটে। মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বগুড়া কতৃক বারি আলুবোখারা-১ জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। আলুবোখারা বাংলাদেশের একটি উচ্চমূল্যের মসলা ফসল।
বারি আলুবোখারা-১ এর বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটিতে বারি আলুবোখারা-১ জাতটি চাষের খুবই উপযোগী। এ জাতটির গাছ মাঝারি আকারের, প্রায় ৫-৬ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। তবে শাখা ছাঁটাই না করলে প্রায় ১২ মিটার উচ্চতা ও প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। বারি আলুবোখারা-১ জাতটিতে ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল আসে। তবে অক্টোবর মাসেও ফুল ধারণ করে, যা পরবর্তিতে ঝরে পড়ে যায়। এ জাতটিতে জুন মাসে ফল পাকে। জাতটির ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে যার স্বাদ টক। কিন্তু পাকলে গাঢ় লাল-বেগুনি রং ধারণ করে সুগন্ধিযুক্ত মিষ্টি ফলে পরিণত হয়। আকর্ষণীয় প্রতিটি ফলের ওজন গড়ে ৮-৯ গ্রাম। এ জাতটির ফলের খাদ্যাংশ বেশি, প্রায় ৯০-৯৪% এবং মাঝারি টক মিষ্টি স্বাদের, যার মোট দ্রবণীয় কঠিন পদার্থের (ঞঝঝ) পরিমাণ প্রায় ১০-১২%। গাছের আকার আকৃতি, আবহাওয়া ইত্যাদি অনুযায়ী প্রতি গাছে গড়ে ১৫০০-২০০০টি ফল ধরে, যার ওজন প্রায় ১২-১৫ কেজি। এ জাতটিতে রোগবালাই এর আক্রমণ অনেক কম। 
আলুবোখারার ব্যবহার 
আলুবোখারা কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত করে দুই ভাবেই খাওয়া যায়। পরিপক্ব আলুবোখারা মিষ্টি ও রসালো। আশ্চর্য রকমের সুস্বাদু এ ফল কাঁচা অবস্থায় যেমন খাওয়া যায় তেমনি চিনি, মরিচ ও সরিষার তেল সহযোগে চাটনির মতো করেও খাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন উপাদান যোগ করে রান্না করে খেতেও খুব মজাদার। আলুবোখারা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি, কেক, আচার, জুস প্রভৃতি তৈরি করা যায়। এটি বিরিয়ানি রান্নার একটি জনপ্রিয় উপকরণ।
আলুবোখারার পুষ্টি ও ঔষধি গুণাবলী
পুষ্টি উপাদানের উত্তম উৎস আলুবোখারা। তাই সারা বিশে^ এ ফলকে পুষ্টিকর খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়। আলুবোখারার ফলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, আমিষ, লোহা, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, কপার, দস্তা, প্রায় সকল প্রকার ভিটামিন (ভিটামিন এ, বি-১, ২, ৩, ৫, ৬, সি, ই এবং কে) থাকে। তবে কার্বোহাইড্রেট ও  চর্বি কম পরিমাণে থাকে। আলুবোখারায় প্রচুর পরিমাণে ফেনোলিক যৌগ যেমন: ক্লোরাজেনিক এসিড, ফ্ল্যাভোনয়েড, গ্লাইকোসাইড, প্রোঅ্যানোথাসায়ানিডিন, বেনজোয়িক এসিড, বেনজোয়েল হেক্সোস, অ্যান্থোসায়ানিন, সিনাময়েল হেক্সোস, কুমারিনস, সিনামিক এসিড ইত্যাদি থাকে। এ সমস্ত ফেনোলিক যৌগসমূহের শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপ, ক্যান্সার প্রতিরোধক, ডিএনএ পরিবর্তন প্রতিরোধক, প্রদাহ প্রতিরোধক, লিউকোরিয়া প্রতিরোধক, অনিয়মিত মাসিক নিরাময়, হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধক, আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধক, বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধক ইত্যাদির বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফসফরাস হাড় গঠন, ভিটামিনসমূহ শ্বেতসার মেটাবলিজম এবং ভিটামিনকে রক্ত জমাট বাঁধাতে সহায়তা করে। এতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম, ফ্লোরাইড ও লৌহ রয়েছে, যা দেহ কোষের সুরক্ষার জন্য উপযোগী। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকার কারণে পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আলুবোখারার ফলে খাদ্যশক্তি কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। 
আবহাওয়া ও মাটি
সাধারণত অবউষ্ণ থেকে শীত প্রধান অঞ্চলের আবহাওয়া আলুবোখারা চাষের জন্য উপযোগী। তবে ঠা-া আবহাওয়া খুবই উপোযোগী। আলুবোখারা চাষের জন্য উজ্জ্বল রৌদ্রের প্রয়োজন হয়। এ ফসল ৫.৫-৬.৫ ঢ়ঐ সমৃদ্ধ সুনিষ্কাশিত উর্বর এঁটেল-দো-আঁশ থেকে বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালভাবে জন্মাতে পারে। জলাবদ্ধতা ও অতিরিক্ত লবণাক্ত জমিতে এ ফসল ভাল হয় না। বছরে সুষম বণ্টনকৃত ৯০-১১০ সেমি. বৃষ্টিপাত আলুবোখারা উৎপাদনের জন্য ভাল। ফলের বৃদ্ধি ও বিকাশের সময় দীর্ঘমেয়াদি খরা এবং ফল পরিপক্বতার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ফলের গুণগত মান হ্রাস পায়। অবউষ্ণ এলাকার জন্য শীতকালে শৈত্যায়ন হয়ে শীতের পর ফুল আসে এবং ফল ধারণ করে। পাহাড়ের ঢালে ও পাহাড়ের উপরে ভাল বায়ু চলাচল উপযোগী ও পর্যাপ্ত সূর্যালোকে উৎপাদন ভাল হয়।
চারা উৎপাদন
গুটি কলম, মূল/ডাল কাটিং এবং বীজের মাধ্যমে আলুবোখারার বংশবিস্তার করা যায়। বারি আলুবোখারা-১ এর চারা গুটি কলমের মাধ্যমেই উৎপাদন করা উত্তম। তবে ডাল কাটিং ও বীজ থেকেও চারা উৎপাদন করা যায়। ডাল কাটিং পদ্ধতিতে সফলতার হার তুলনামূলক অনেক কম। অন্যদিকে বীজের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করলে বীজ অঙ্কুরোদগমের সময় বেশি লাগে, উৎপাদিত চারার জাতের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের প্রত্যাশিত গুণগতমান ঠিক থাকে না এবং ফল আসতেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। গুটি কলমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করলে সাধারণত এক বছরের মধ্যেই ফুল আসে, তবে ভাল ফলন পাওয়ার জন্য ২-৩ বছর প্রয়োজন হয়। গুটি কলম করার জন্য রুটিং হরমোন যেমন- ইনডোল বিউটারিক এসিড (ওইঅ) এর প্রয়োজন হয়। 
গুটি কলম করার পদ্ধতি  
া জুন-আগস্ট মাসে ৯-১২ মাস বয়সের কা- (লম্বা-২৫-৩০ সেমি.) নির্বাচন; 
া ধারালো ছুরির সাহায্যে কা-ের সুবিধাজনক স্থানে (ব্যাস: ৬-৮ মিমি.) ২৫-৩০ সেমি. পরিমাণ গোলাকার করে বাকল অপসারণ;  
া কা-ের ডগার দিগের অপসারণকৃত বাকলের শেষ প্রান্তে ৩-৪ ফোঁটা ওইঅ হরমোন (৩৫০০-৪০০০ পিপিএম) দ্রবণ প্রয়োগ; 
া পচা গোবর ও মাটির মিশ্রণ দ্বারা অপসারণকৃত বাকলের অংশ ভালভাবে লাগিয়ে পলিথিন দিয়ে পেঁচিয়ে দুই প্রান্তে সুতার সাহয্যে বাঁধন; 
া কলম বাঁধার ৩৫-৪০ দিন পর থেকে যখন বাদামি শিকড় পরিলক্ষিত হয় তখন গুটি কলম মাতৃগাছ থেকে কর্তন; 
া কর্তনকৃত গুটি কলমের পাতা ফেলে দিয়ে পূর্বে প্রস্তুতকৃত মাটি ভর্তি (পচা গোবর, মাটি ও বিভিন্ন সার) ছোট ব্যাগে স্থাপন; 
া গুটি কলমে নতুন পাতা বিকশিত হলে রোপণ উপযোগী হয়; 
া হরমোনের ঘনত্ব, আবহাওয়া, কা- নির্বাচন ইত্যাদির উপর গুটি কলমের সফলতার হার নির্ভর করে।
া হরমোন দ্রবণ তৈরি : ৩/৩.৫/৪ গ্রাম ওইঅ হরমোন ৫০ মিলি. মিথাইল/ইথাইল অ্যালকোহল অথবা নরমাল সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণে (৪০ গ্রাম সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড+১ লিটার পানি) ভালভাবে দ্রবীভূত করে ৯৫০ মিলি. পাতিত পানিতে (উরংঃরষষবফ ধিঃবৎ) মিশ্রণের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩০০০, ৩৫০০ এবং ৪০০০ পিপিএম ওইঅ হরমোন দ্রবণ তৈরি হয়।
জমি তৈরি
যে জমিতে অন্য ফসল ভাল হয় না সে জমি আলুবোখারা চাষের জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে। বাগান আকারে চাষ করতে হলে নির্বাচিত জমি ভাল করে চাষ ও মই দিয়ে সমতল এবং আগাছামুক্ত করে দিতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার ধার বা পুকুর পাড়ে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে জমিতে চাষ না দিয়ে শুধু পারিষ্কার করে নিলেই চলবে।
রোপণ সময় ও পদ্ধতি 
মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আলুবোখারার চারা রোপণ করার উপযুক্ত সময়। এছাড়া যে কোন সময় আলুবোখারার চারা রোপণ করা যায়। সমতল ভূমিতে আলুবোখারা চারা সাধারণত বর্গাকার বা ষড়ভুজী প্রণালীতে লাগানো যেতে পারে। কিন্তু উঁচু নিচু পাহাড়ে কন্টুর রোপণ প্রণালী অনুসরণ করতে হবে। চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে উভয় দিকে ৩-৪ মিটার দুরত্বে ৬০দ্ধ৬০দ্ধ৬০ সেমি. মাপের গর্ত করতে হবে। প্রতি গর্তে ১৫-২০ কেজি কম্পোস্ট বা পচা গোবর, ৩-৫ কেজি ছাই, ২০০ গ্রাম টিএসপি এবং ২৫০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করে গর্তের উপরের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। গর্ত ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে। সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত চারা/গুটি কলম রোপণের জন্য নির্বাচন করতে হবে। চারা গর্তের মাঝখানে সোজাভাবে লাগিয়ে তারপর চারদিকে মাটি দিয়ে চারার গোড়ায় সামান্য চেপে দিতে হবে। গর্তে চারা রোপণের পরপরই গোড়ায় পানি দিতে হবে এবং খুঁটি দিয়ে চারার সাথে বেঁধে দিতে হবে। চারাটির নিরাপত্তার জন্য বেড়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। 
সার ব্যবস্থাপনা 
আশানুরূপ গুণগত মানসম্পন্ন ফল পেতে হলে আলুবোখারায় নিয়মিত ও পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করা আবশ্যক। গাছের বৃদ্ধির সাথে সারের পরিমাণ বাড়বে। প্রতিটি গাছের জন্য সারের পরিমাণ সারণি দ্রষ্টব্য।
সমস্ত সার তিন ভাগ করে মে, সেপ্টেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিবার সার দেওয়ার পর প্রয়োজনে পানি দিতে হবে।
অন্যান্য আন্তঃপরিচর্যা
আলুবোখারা গাছের গোড়া নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। পাহাড়ের ঢালে, বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার ধার বা পুকুর পাড়ে লাগানো গাছের গোড়ায় আগাছা কেটে পরিষ্কার রাখতে হবে। চারা রোপণের প্রথম দিকে প্রয়োজনমতো সেচ দেয়া দরকার। খরা বা শুকনো মৌসুমে পানি সেচ দিলে ফল ঝরা হ্রাস পায়, ফলন বৃদ্ধি পায় এবং ফলের আকার ও আন্যান্য গুণাগুণ ভাল হয়। চারা অবস্থায় গাছকে সুন্দর কাঠামো দেয়ার জন্য অবাঞ্ছিত ও অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছাঁটাই করে রাখতে হবে। ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে গাছের মরা, রোগাক্রান্ত ও পোকামাকড় আক্রান্ত ডালপালা কেটে পরিষ্কার করতে হবে। বারি আলুবোখারা-১ এ রোগবালাই খুবই কম। তবে পাতার দাগ বা লিফ স্পট রোগ দেখা দিলে রিডোমিল গোল্ড বা এ জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করেই তা সহজে দমন করা যায়।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
আলুবোখারার ফল নন-ক্লাইম্যাকটেরিক (গাছ থেকে সংগ্রহের পরে ফলের পাকার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়) হওয়ায় গাছ থেকেই ভালভাবে পাকার পর তা সংগ্রহ করতে হয়। আলুবোখারার ফল সম্পূর্ণরূপে পেকে গাঢ় লাল বা হালকা খয়েরি রং ধারণ করলে এবং ফল নরম হলেই সংগ্রহ করা উচিত। হালকা লাল বা হলুদ অবস্থায় সংগ্রহ করা হলে তা অত্যন্ত টক বা হালকা তেতো স্বাদেরও হতে পারে। বারি আলুবোখারা-১ এর প্রতি পূর্ণবয়স্ক (১৫-২০ বছর) গাছে ১২-১৫ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া যেতে পারে। 
 
লেখক : ১ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, গবেষণা উইং, বিএআরআাই, গাজীপুর, ২ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ৩ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, বিএআরআই, ফরিদপুর। মোবাইল : ০১৭১১-৫৭৩৩৬১, ই-মেইল : khanalauddinsrsc@gmail.com