খাদ্য নিরাপত্তায় মুগডাল
ও চাষাবাদ পদ্ধতি
ড. মো. কামরুজ্জামান
বাংলাদেশে ভাতের পরেই ২য় প্রধান খাবার হিসেবে ডালকে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নিকট ডাল আমিষের অন্যতম প্রধান যোগানদাতা। তবে ঋঅঙ এর তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের গড়ে প্রতিদিন ৪৫ গ্রাম করে ডাল খাওয়ার প্রয়োজন, কিন্তু আমরা খাচ্ছি মাত্র ১২-১৫ গ্রাম। ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এই ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের ডালজাতীয় ফসলের মধ্যে মসুর, মুগ, মাসকলাই, ছোলা ও মটরই মূলত প্রধান। তবে পুষ্টির দিক থেকে মুগডালকে (ঠরমহধ ৎধফরধঃধ খ.) সেরা বিবেচনা করা হয়। সকালের নাশতায় রুটি বা পরোটার সাথে আমরা সুস্বাদু খাবার হিসেবে প্রায়ই মুগডাল খেয়ে থাকি। তবে এর পুষ্টিগুণ জানা থাকলে চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। গবেষণা বলছে শুষ্ক ওজনের ভিত্তিতে, মুগডালে ২২-২৮% আমিষ, প্রচুর ফাইবার, খাদ্য কনিকা এবং নানারূপ ভিটামিনসহ অপরিহার্য এমাইনো এসিড রয়েছে (খধসনৎরফবং ধহফ এড়ফরিহ, ২০০৭)। এর জটিল কার্বোহাইড্রেট শরীরকে টেকসই শক্তি সরবরাহ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করে। মুগ ডায়াবেটিক রোগীদের খাবার হজমে সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি১ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধির মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এক কাপ (২০০ গ্রাম) রান্না করা মুগডালে ১৫.৪ গ্রাম ফাইবার, ১৪.২ গ্রাম প্রোটিন ও মাত্র ০.৮ গ্রাম চর্বি রয়েছে। এ ছাড়াও মুগে পটাশিয়াম, কপার, থায়ামিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে রয়েছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এক কাপ রান্না করা মুগডাল আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ফোলেটের প্রায় ৮০% পূরণ করতে পারে।
কৃষি জমির উর্বরতা বাড়াতে ডাল ফসলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডালের শিকড় অঞ্চলে রাইজোবিয়াম প্রজাতির সাথে সিমবায়োসিস প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলীয় নাইট্রোজেন (৫৮-১০৯ কেজি/হেক্টর) মাটিতে ফিক্স করে, যা শুধুমাত্র নিজস্ব নাইট্রোজেনের চাহিদা মেটায় না, বরং পরবর্তী ফসলের জন্যও নাইট্রোজেন সারের পরিমাণ সাশ্রয় করে (অষর ধহফ এঁঢ়ঃধ, ২০১২)। দেশে বর্তমানে ৭.০৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৭.৬৭ লক্ষ মে. টন ডাল উৎপাদিত হয় যা মোট চাহিদার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। উৎপাদন এরিয়া বিবেচনায় ডালের মধ্যে মুগ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১.৭০ লক্ষ হেক্টর জমিতে ১.৭৭ লক্ষ মে. টন মুগডাল উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের সব জেলাতেই কমবেশি মুগের চাষ হয়, তবে উপকূলীয় অঞ্চলে এর ব্যাপকতা রয়েছে। দেশে উৎপাদিত মুগডালের প্রায় ৬০% উৎপাদিত হয় উপকূলীয় অঞ্চলে। জমি, আবহাওয়া এবং নদ-নদীর জোয়ার-ভাটা ইত্যাদি বিচারে উপকূলীয় অঞ্চল মুগডাল চাষের জন্য উপযুক্ত। তাই আমন কর্তন পরবর্তী পতিত জমিতে মুগ চাষ ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। এ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে দেশের এক-পঞ্চমাংশ জুড়ে রয়েছে পাহাড়ি এলাকা। এখানেও আমন ধান কাটার পর মুগডাল চাষ দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে। পুরো এলাকা চাষের আওতায় আনা সম্ভব হলে আমিষের ঘাটতি আরও পূরণ হবে। সুতরাং ডালের প্রাপ্যতার যে ঘাটতি রয়েছে তার অনেকটাই ডালের আধুনিক জাত ও আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যবহার, শস্যের নিবিড়তা এবং এরিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।
উচ্চফলনশীল মুগের জাতসমূহ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবিত জাতসমূহের মধ্যে জনপ্রিয় ও স্বল্প জীবনকালীন জাত হিসেবে নিম্নলিখিত জাতগুলো কৃষক পর্যায়ে রয়েছে: বারি মুগ-২, বারি মুগ-৩, বারি মুগ-৪, বারি মুগ-৫, বারি মুগ-৬, বিনামুগ-৬, বিনামুগ-৮, বিনামুগ-৯, বিনামুগ-১১ ও বিনা মুগ-১২। উল্লেখিত জাতগুলোর আমিষের পরিমাণ ১৯-২৪%, হেক্টর প্রতি ফলন ১.২-২.০ টন, জীবনকাল ৫৫-৭০ দিন এবং বেশির ভাগই সারকোস্পোরা দাগ ও হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ সহনশীল। বিইউ মুগ-৪ ও বিইউ মুগ-৫ জাতসমূহ কৃষকের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।
মুগডালের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও আন্তঃপরিচর্যা
মাটি নির্বাচন ও জমি তৈরি : বেলে দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি মুগ চাষের জন্য উত্তম। জমিটি হতে হবে মাঝারি উঁচু যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। জমিতে ‘জো’ আসলে ৩-৪ টি চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। এরপর মই দ্বারা জমি সমান করে নিতে হবে। এতে বীজের অঙ্কুরোদগম হার বেড়ে যায়।
বপনের সময় : খরিপ-১ মৌসুমে মুগ বপনের সময় ফাল্গুন মাসের প্রথম থেকে শেষ (ফেব্রুয়ারির শেষ হতে মার্চের মধ্য ভাগ) এবং খরিপ-২ মৌসুমে শ্রাবণ-ভাদ্র মাস (আগস্টের প্রথম হতে সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগ) পর্যন্ত। উপকূলীয় অঞ্চলে মুগডাল চাষ এর উপযুক্ত সময় রবি মৌসুমের শেষভাগ অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কারণ এ সময়ে জমিতে রসের পরিমাণ কমে চাষ উপযোগী পর্যায়ে আসে। আমন ধান কাটা হয়ে গেলে জমি থেকে খড় সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর জমিকে শুকিয়ে ‘জো’ অবস্থায় আনতে হবে। একই উপায়ে আমন ধান কাটার পর পাহাড়ি অঞ্চলে জমি তৈরি করতে হবে।
বীজের হার ও বপন পদ্ধতি : জাতভেদে মুগের বীজের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। মধ্যম সাইজের বীজের ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ কেজি প্রয়োজন। ছোট বীজ যেমন বারি মুগ-৫ এর জন্য ৪০-৪৫ কেজি বীজের প্রয়োজন। বীজ ছিটিয়ে বা সারিবদ্ধভাবে বপন করা যায়। তবে সারি হতে সারির দূরত্ব ২৫-৩০ সেমি. রেখে ৩-৪ সেমি. গভীরে বীজ বপন করতে হবে এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১০-১৫ সেমি. রাখতে হবে।
সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি : জমিতে হেক্টর প্রতি নিম্নরূপ সার প্রয়োগ করতে হবে: ইউরিয়া ৪০-৫০ কেজি, টিএসপি ৮০-৮৫ কেজি, এমপি ৩০-৩৫ কেজি, অণুজীব সার ৪-৫ কেজি। সমুদয় সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি কেজি বীজের জন্য ৮০ গ্রাম অণুজীব সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। সাধারণত অণুজীব সার ব্যবহার করলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয় না।
সেচ ও অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা : মুগ চাষাবাদের সময় সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না। তবে খরিপ মৌসুমে বীজ বপনের আগে খরা হলে সেচ দিয়ে জমিতে ‘জো’ আনার পর বীজ বপন করতে হবে। জমি একেবারেই শুকিয়ে গেলে হালকা সেচ দিয়ে নিড়ানি দিতে হবে। জমিতে গোড়াপচা অথবা অন্যান্য ছত্রাকের উপস্থিতি দেখা গেলে কোনভাবেই সেচ দেয়া যাবে না, দিলে ছত্রাক দ্রুত পুরো জমিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে একবার আগাছা দমন করা প্রয়োজন।
রোগ দমন পদ্ধতি
মুগডাল চাষ করতে গিয়ে চারা থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত যেকোনো পর্যায়ে রোগবালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে।
পাতার দাগ রোগ : এ রোগ হলে পাতায় ছোট ছোট লালচে বাদামি বর্ণের গোলাকৃতি হতে ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে। বেশি আর্দ্রতা (৮০%) এবং উচ্চ তাপে (২৮ ডিগ্রি সে.) এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। রোগ দমনে ব্যাভিস্টিন (০.২%) বা অটোস্টিন ৫০ ডব্লিউডিজি (২ গ্রাম/১ লিটার পানি) নামক ছত্রাকনাশক ১২-১৫ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। রোগ প্রতিরোধী জাত (যেমন-বারি মুগ-২, ৩, ৪, ৫ এবং বিনামুগ-৯) ব্যবহার করা যেতে পারে।
পাউডারি মিলডিউ : এ রোগে পাতায় পাউডারের মতো আবরণ পড়ে। বীজ, পরিত্যক্ত গাছের অংশ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। বিকল্প পোষক ও গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে। টিল্ট-২৫০ বা থিওভিট (০.২%) ১০-১২ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ : বিকল্প পোষক ও সাদা মাছির আধিক্য এ রোগ দ্রুত বিস্তারে সহায়ক। আক্রান্ত পাতার উপর হলদে সবুজ দাগ পড়ে। রোগ একবার হলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশক্সক্ষা থাকে। তাই আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়ে ফেলতে হবে বা দূরে নিয়ে মাটি চাপা দিতে হবে যাতে অন্য সুস্থ গাছ আক্রান্ত না হয়। সাদা মাছি দমনে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন- ইমিটাফ ২০এসএল (০.৫ মিলি/১ লিটার পানি) স্প্রে করতে হবে এবং রোগ মুক্ত উৎস হতে বীজ ব্যবহার করতে হবে।
পোকামাকড় দমন
মুগডালে ফ্লি বিটল, পাতা মোড়ানো পোকা, জাবপোকা এবং থ্রিপস পোকার আক্রমন হতে পারে। ল্যাম্বডাসাইহ্যালোথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন- রীভা ২.৫ ইসি (১ মিলি/১ লিটার পানি) স্প্রে করে ফ্লি বিটল পোকা দমন করা যায়। পাতা মোড়ানো পোকা পাতার সবুজ অংশ কুড়ে কুড়ে খায়। এ পোকা দমনের জন্য ক্লোরোপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন- ডারসবান ২০ ইসি (১ মিলি/১ লিটার পানি) স্প্রে করতে হবে। জাবপোকা দেখা গেলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে স্প্রে করলে আক্রমণ কমে যায়। থ্রিপস ফুলের রেণু খেয়ে ফেলে ফলে গাছে ফুল ধরলেও ফল ধরে না। ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন- ইমিটাফ ২০ এসএল (০.৫ মিলি/১ লিটার পানি) স্প্রে করতে করা যেতে পারে। ইদানীং স্পোডোপটেরা লিটুরা নামে একটি পোকার আবির্ভাব হয়েছে যার লার্ভা পাতার নিচে অবস্থান করে কচি পাতার ক্লোরোফিল স্ক্র্যাপ করে খেয়ে ফেলে ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পাতা সাদা ও শুষ্ক হয়ে যায়। এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করতে, স্পিনোসেড গ্রুপের জৈব কীটনাশক যেমন: সাকসেস ২.৫ এসসি (১.২ মিলি/১ লিটার পানি) স্প্রে করলে আক্রমণ কমে যায়।
ফসল সংগ্রহ
মুগডাল ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা খুবই কষ্টকর কারণ এর সবগুলো ফল একসাথে পাকে না। তাই কয়েকবারে সংগ্রহ করতে হয়। অন্য দিকে যেসব জাত যেমন: বারি মুগ-৫,৬ বিনামুগ-৮ এর ফল প্রায় একসাথে পাকে সেগুলোই কেবল একবারে সংগ্রহ করা যায়। সব ফল একসাথে পরিপক্ব হলে কাঁচি দিয়ে গোড়া থেকে গাছগুলো কেটে নিতে হয়। এভাবে কাটা হলে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরপর রোদে শুকানো, খোসা ছড়িয়ে মুগডাল বীজ বের করা এবং রোদে শুকানোর পর সংরক্ষণ অথবা বাজারজাত করা হয়। বীজ পলিথিন বা ত্রিপলের উপর ২-৩টি রোদ দিয়ে শুকাতে হবে। রোদে শুকানোর পর বীজ নিয়ে দুই দাঁতের মাঝে রেখে চাপ দিলে যদি কট করে শব্দ হয় এবং বীজ দুভাগ হয়ে যায় কিন্তু গুড়া হবে না কিংবা দাঁতের সাথে লেগে থাকবে না এ অবস্থায় বীজে ১০-১২% আর্দ্রতা রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। এ অবস্থায় শুকানো বীজ ঠা-া করে বায়ুরোধী পাত্রে যেমন- প্লাস্টিক বা ধাতব ড্রাম বা পলিথিন ইত্যাদিতে সংরক্ষণ করতে হবে।
লাভ-খরচ
মুগডাল উৎপাদনে কম পুঁজি লাগে। খরচের বেশির ভাগই হয়ে থাকে ফসল সংগ্রহের জন্য। অনেক এলাকায় সাধারণত ফলন ভাগাভাগির মাধ্যমে সংগ্রহের কাজটি সম্পন্ন হয়। এজন্য মোট উৎপাদনের শতকরা ৩৭.৫ ভাগ সংগ্রহকারীদের দিয়ে দিতে হয়। ফসল উত্তোলন কাজে নগদ অর্থ ব্যয় করতে হয় না বিধায় এ খাতকে অনেকে খরচের হিসাবে ধরেন না। তবে হিসেবে দেখা গিয়েছে এভাবে হেক্টর প্রতি খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা হয় এবং বিক্রি করে প্রায় ৪০,০০০ টাকা আয় করা যায় ফলে লাভ-খরচের অনুপাত দাঁড়ায় ২:১। মুগডালের এ অনুপাত কৃষকের জন্য লাভজনক।
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় মুগডাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কৃষক অল্প খরচেই মুগডাল চাষাবাদ করতে পারে। মাত্র দুই বা আড়াই মাসে ফসল পাওয়ায় কৃষক সহজেই আমন ধান কাটার পর পতিত জমি মুগডালের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আনতে পারে। তাছাড়া, কেজিপ্রতি মুগডালের বাজার অন্য যেকোনো ফসলের বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। তাই, মুগডাল চাষ করে কৃষক একদিকে যেমন পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবে, অন্য দিকে বাজারে বিক্রি করে আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হতে পারবে।
লেখক : ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), উপকেন্দ্র, গোপালগঞ্জ, মোবাইলঃ ০১৭৭৬৯৬০৭৬৯, ই-মেইলঃkamruzzaman_bina2013@yahoo.com